আমি বেতন পাই না অনুদান পাই
সাঈদুর রহমান লিটন

মাঝে মাঝে ব্যাকুল হয়ে যাই
অশরীরী আত্মারা চক্রাকারে ঘোরে
আমাকে কেন্দ্র করে।
আমি বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি
বোধগম্য হয়না অন্তরে।
শরীরে চিমটি কেটে দেখি
লাশ না মানুষ! বুঝিনা নিশ্চিত করে
নিজেকে তো মানুষ মনে হয়,
তাহলে আত্মাগুলো কারা?
যারা বেতন কে বলে অনুদান,
বোনাস দেয় পঁচিশ শতাংশ,
আর বেতন দেয় বারো হাজার পাঁচ শো।
তবে কর কেটে নেয় ইচ্ছে মতো।
ওরাই মানুষ! নাকি
ইফতার আর সেহেরিতে জোটে আলুভর্তা, আর
এক গ্লাস পানি,
ঈদে জোটে না নতুন জামা,
সন্তানদের কাছে নতজানু হতে হয় লজ্জায়,
তারাই মানুষ, যাদের উপর নতুন কারিকুলাম
বাস্তবায়নের বোঝা,
যারা একবার মুখ ফসকে চেয়ে বসলে
পাওনা ছুটি গুলো হিংস্র ছোবলে খেয়ে ফেলে।
কারা ভৌতিক আত্মা,
যারা তরমুজ বিক্রি করে সিন্ডিকেটে কেজি দরে,
সুলভ মূল্যে গোস্ত বিক্রি করে বলে
খলিলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে,
মেরে ফেলার হুমকি দেয়,
খলিল মানুষ নাকি, নাকি বিবেক?
আমি ব্যাকুল হয়ে যাই, বাজারে গেলে,
খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরি বাড়িতে
আমার চারপাশে অশরীরী আত্মারা ভীড় করে,
আমি ভীত হয়ে যাই, আমি ভয় পাই
আমি কিভাবে জাতীর কারিগর হবো।

গ্রামঃ জগন্নাথদী পোঃ ব্যাসদী গাজনা
উপজেলাঃ মধুখালী জেলাঃ ফরিদপুর
০১৮৪২৫১৩৭১১