আইজকাইল কারোর চোকে চোক রাখাহারিনা
এলকা এলকা পতে আঁটি
কারোর নগে দেহা অইলেও চাইয়া দেহি না
অন্য মুরা দিয়া চইলা যাই
আতকা যদিও কারোর চোকে চোক পড়ে
আতকাই আবার চোক হরাইয়া ফালাই
ভাবখানা এমন ধরি যে কিছুই দেহি নাই

চোক তুইলা কি দেকমু?
চোক তুললেই দেহি
বেগুন-মরিচ-চাইল-আটা-ময়দার দোকানে অসহায় কেনালের চোক
চোক তুললেই দেহি
নানান দাবিতে আন্দোলনরত যুবক-যুবতীগো আগুনের লাহান চোক
চোক তুললেই দেহি
আজনীতির মাইর প্যাঁচে পইরা বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন মইতার চোক
চোক তুললেই দেহি
ধর শালারে মার শালারে কইয়া আংগোর গলা চিপ্পা থাকা মাস্তানদের রক্ত চোক

তাই আইজকাইল কারোর চোকে চোক রাখাহারিনা
এলকা এলকা জীবনডারে চালায় নিতাছি
কারোর কিছুতেই নাক গলাই না
অন্য মুরা দিয়া চইলা যাই

ঐ যে ফুটপাতে খাড়াইয়া পোলাডা হালিম বেঁচে
ওরে আর খাঁড়াবার দেয় না
ফুটপাতে পান বেঁচতো শহিদুলের বাপে
বেবাক জায়গা দখল নিতাছে একটু একটু করে
দখল হইতে দেখতাছি বেবাক উন্নয়নের জোয়ারে
কোন পুনর্বাসন নাই, এগোর কতা কেউ ভাবে নাই
তাই আমি ভাবখানা এমন ধরি যে কিছুই দেহি নাই

গেরামের ক্ষেতে শস্য ফলাইতেছে আমার যে কৃষক কাক্কা
যাইয়া দেহো গা মহাজনগো যাতাকলে পইড়া ভাতের পাইল্যাডাও ফাঁক্কা
হের চোকেও আমি চোক রাখাহারিনা
আতকা যদিও হের চোকে চোক পড়ে
আতকাই আবার চোক হরাইয়া ফালাই
ভাবখানা এমন ধরি যে কিছুই দেহি নাই

খিদার চোটে যে ছেড়িডা শইল বেঁচে আন্দাইর রাইতে
ঐ কেলান্ত চোক মিহি তাকানোর বুকের পাটা কই
তাই হের চোকে চোক থুই নাই
পিছমুড়া দিয়া হাঁইটা পলাই

মালতের এতো অসঙ্গতির মিহি হেই জুন্তে আর চাইনা
চোকচোরা আমি যহন আয়নার সামকে খাড়াই
নিজেরে দেইখা নিজেই কিবা জানি শরম পাই
নিজেরে নিজেই জিগাই,
কেন আমি এবা হইয়া গেলাম?
কেন আমি দেইখাও কিছুই দেহি নাই?