নাগরিক কোলাহল,
আর সরল সরু গলি
অনেকগুলো বাড়ি
সরু গলির শেষ মোড়টায়
নয়ন মিয়ার চায়ের টংঘর
পরের বাড়িটার মালিক আকবর
৮ তলা বাড়ির তিনদিক বদ্ধ
বাড়িটা চকচকে, বড় হয়েছে সদ্য
এই বাড়িতেই যুবকটার বাস
প্রতিদিন ৮ টায় বেড়িয়ে
রাত ১১ টায় ফেরার অভ্যাস।।
উত্তর দিকটায় এক ৬০ উর্দ্ধ বৃদ্ধা
ছেলে আর্মিতে, দেশের লড়াকু সৈনিক
না খেয়ে থাকা বৃদ্ধা, গুমড়ে কাঁদে দৈনিক।।
দখিনের রুমটায়
একটা মাঝ বয়সী লোভনীয় নারী
ফরিদপুরে বাড়ি
যুবকের সাথে একবার দুবার কথা হয়েছে
স্বামী তার জন্য অতিথি, মাঝে মাঝে আসে
স্বামী তার সভ্য মানুষ, বড্ড ভালোবাসে
মুখচোরা হাসিখুশি নারীটাও সৈনিক
নারীত্ব রক্ষার ব্রতে উপোস থাকে দৈনিক
স্বামীর আশায় উপোস থাকা
৩০ ছুঁই ছুঁই নারীটার গায়ে
উন্নাসিক পারফিউমের সুবাস আর
ঢেউ বাঁকে বাঁকে
তাই ভেবে যুবক
কুপ্রবৃত্তির আলপনা আঁকে।
থাকনা রগরগে শব্দচয়ন,
ওসব এখন ভালো লাগছে না!
শরীরটা এলিয়ে দিতেই
ঘুম এলো চোখে
খানিক বাদেই ঘুম ভাঙলো
একটা দুঃস্বপ্নের চাপে।।।
এখন স্বপ্ন শুধু
৩০ ছুঁই ছুঁই নারীই নয়,
একটা দুইটা স্বপ্ন আবার
ভালো হবার কথা কয়।।
আয় রোজগার ভালোই আছে
তবুও যুবক ভৃত্য বেশেই চলে
ভৃত্য সে নয়! এটা পাশ কাটানোর রোগ
ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেয়া, যুবকের জনমকার অসুখ
অভাব অনটন লাগিয়ে রাখার অভ্যাস
ফকির মিসকিনকে যেন, কাটানো যায় পাশ
সিগারেটের বেলায় তার খরুচে মেজাজ
ধার চাইলে কেউ এড়িয়ে যাওয়াই তার কাজ
চলছিল এভাবেই,
স্বভাবের অভাবেই,
মা মরার পর,
পাল্টে গেছে স্বর,
এখন ভিক্ষুকের মাঝেই সে
খুঁজে নেয় মায়ের আদর।।।