তোমাকে লিখতে বসলেই
ঝেঁকে বসে রাষ্ট্র চিন্তা
মাথায় চলে আসে;
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস
মানবাধিকারের শরীর লেপ্টে থাকে আরাম কেদারায়
নিয়মগুলো হেলান দিয়ে শুয়ে পড়ে অনিয়মের বারান্দায়
.
.
অথচ আমি লিখতে চেয়েছি
আমার প্রজাপতি মূহুর্ত
বৃষ্টিস্নাত বিকেলের গল্প
কণক রঙের গোধুলি লগ্ন
বৃক্ষের ছায়ায় আমার অবসরকাল
.
.
তোমাকে লিখতে বসলেই
ভেসে উঠে বিপন্ন মানুষের ঠিকরে বের হয়ে আসা চোখ
মগজ ছেঁয়ে যায়;
দিনে দিনে বাড়ছে কতো ঋণ
ভরসার হাতেই কেনো বালিকার স্বপ্ন হয় বিলীন?
পুলিশ ভ্যানেই কেনো ধর্ষিত হয় কিশোরী ইয়াসমিন?
.
.
অথচ আমি লিখতে চেয়েছি
আমার উদাসী শূণ্যতা
চায়ের পেয়ালায় ধোঁয়া উড়ানো স্নিগ্ধ সকাল
রঙ্গিন ফড়িংয়ের নিমগ্ন উড়াউড়ি
অথবা হিজল ছায়ায় বসে প্রেমের কবিতা
.
.
তোমাকে লিখতে বসলেই
মনে পড়ে রাজনের ঐ তৃষ্ণার্ত মুখ
চেপে বসে হতাশা;
কম্পিত হয় কুমারগাঁওয়ের মাটি
ফিনকে দিয়ে বেরিয়ে আসে রাজনের রক্ত
মৃত্যুর পরেই কেনো বেরিয়ে আসে মানুষের ঢল?
কেনো রাজনকে দেয়া হয় না বেঁচে থাকতে এক পেয়ালা জল?
.
.
তোমাকে লিখতে বসলেই
আমায় পেয়ে বসে বিশ্বজিৎ, রিফাত, আবরার
অথবা ফারুক, তানিয়া, সাগর-রুনি আর তনু
নুসরাত  কিংবা তাসলিমা বেগম রেণু
.
.
অথচ আমি এসব লিখতে চাইনি
করতে চাইনি আমি হতাশার চাষবাস
আমিতো লিখতে চেয়েছি সাম্য আর প্রেমের ইতিহাস