গিরীশ নন্দিনী তুমি
পাষাণাঙ্গ দাও চুমি।।
বারি ধারা ঝর ঝর্ণা
তব মাতা তুমি কন্যা।।
প্রান্তর কানন গিরি
সকলের বুক চিরি।।
একে বেঁকে প্রবাহিণী
কলকল কর ধ্বনী।।
নিত্য আসে যায় বারি
গ্রাসো তুমি ভিটা বাড়ি।।
খর স্রোত স্বচ্ছ পানি
তব ধারা বহ বাণী।।
ভাঙ্গা-গড়া নিত্য বেলা
জীব সত্তা তব হেলা।।
ভাসা-ডোবা করে ভেলা
সত্তা যেন তারে খেলা।।
পলি আর রত্নমণি
নিত্য দাও তুমি আনি।।
জেলে-মাঝি নৌকো ভাসে
স্বপ্ন দেখে তব আশে।।
বুকের ভেতর স্বপ্ন
ডানা ঝারে অতি মগ্ন।।
ঘর বাঁধে তব তটে
ভালে যদি স্বপ্ন রটে।।
দুকূলে মানুষ গড়ে
লতা পাতা ঘন নীড়ে।।
কত শান্তি প্রীতিডোরে
হৃদয়াঙ্গ বুক ভরে।।
নদীতে সাঁতার কাটা
তরঙ্গ উচ্ছ্বাসে ঘাঁটা।।
ছেলে-মেয়ে মত হারা
স্নান রত বাধ হারা।
নব বধূ কূলে আসে
সলিলে কলস ভাসে।।
জল লয়ে কাঁকে তোলে
ছোট পায়ে হেঁটে চলে।।
রাখাল বংশী বাদক
চারণে ধেনু কতক।।
বাঁশি সুরে শিহরণ
কূল ছেয়ে প্রসারণ।।
স্রোতস্বিনী কূল ঘেঁষে
প্রগাঢ় সবুজ ঘাসে।।
রবি শস্য তটোপরে
একাকার বালুচরে।।
কত শান্তি প্রেরণার
সব মিলে একাকার।।
*** *** ***
*** *** ***
উত্তরে উতল বারি
দক্ষিণে জমাল পাড়ি।।
সদা মন প্রাণ গায়
সিন্ধু পানে চিত্ত ধায়।।
চপল সদা অন্তর
পুলক ভরা মন্তোর। ।
সদা চল পারাবার
শিহরণ বুঝা ভার।।
সাগরিকা স্পর্শে সুধা
সিন্ধু ডোরে তুমি বাঁধা।।
প্রেমকুঞ্জ মোহনার
উর্মি ক্রীড়া বারিধার।।
অভিরাম অভিসার
স্বর্গ সুখের সঞ্চার।।
কপিরাইট © ২০১৬ এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য
"অন্তকীর্তি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
( প্রথম প্রকাশ ২১শে বইমেলা ২০১৬)