একদা ছিলাম মোরা শত্রুর অধীন,
অদ্য হইয়াছি আমরা নামের স্বাধীন।
আছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়, থাকবে চিরদিন।
ওগো স্বাধীনতা! তুমি কি পুস্তুকের অধীন?
স্বাধীনতা কথাটি কহিতে কত মধুর!
এর সাথে মিশে আছে শত বেদনার সুর।
স্বাধীনতা কথাটির অর্থ নাই মোর জানা,
তবে কেন ওরা দিল নির্দ্বিধায় হানা?
রক্ত দিয়ে লিখল ওরা স্বাধীনতার কথা,
স্বাধীনতা তুমি কেবল পুস্তুকের পাতা।
ফোঁটা ফোঁটা রক্তকনা, তাজা শুচি প্রাণ
নিঃস্বার্থে সপে দিল, বাংলা করল দান।
স্বাধীনতা তোমার তরে হাড়াল সন্তান,
হাড়াল সতীত্ব মা-বোনের কত সম্মান।
যারা পথে ঘুরে ফিরে পাগলের সমান,
পথে প্রান্তরে তারা হয় নিত্য অপমান।
সেদিন তোমার তরে হাড়াল যারা হস্ত পদ,
তারে দিলে ভিক্ষার ঝুলি, ঘুরতে দিলে পথ।
তোমারে পদ তলে রাখিতে যারা প্রতিজ্ঞ,
অদ্য তারাই ক্ষমতাশালী, বড় অভিজ্ঞ
স্বাধীনতা ধরা যায়, না’কি যায় গো ছোঁয়া,
ঐযে রাজপথে ভাংচূর, এখনো উরে ধোঁয়া।
স্বাধীনতা! আমি খুঁজি হে তোমায়,
আসলে স্বাধীনতা তুমি এখন কোথায়?
এখানে পরে আছে রক্তে রঞ্জিত দগ্ধ শরীর,
স্বাধীনতা তুমি কোথায়? দেখ! দেখে যাও ফির।
সর্বজনে কয়, বাংলা গনতান্ত্রিক দেশ,
তবু কেন গ্রাম গঞ্জে অগ্নিঝরা পরিবেশ?
নীতি কহে, গনতন্ত্রে জনগনের সরকার,
তবু কেন সর্ব কার্যে দূর্নীতির কারবার।
জনগণ কেন করে নিজের মধ্যে হানাহানি?
হয়েছে বিভাগ জাতি, রাজনীতির দুশমনি।
স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!! সর্বলোকে কয়,
প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতার সুখ ক'জনার হয়?
রংপুর, ১০/০৭/০৯ ইং
কপিরাইট © ২০১৬ এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য