শত বছর পূর্বে, শত আঁধার ঘুচে,
জম্মিয়া বাংলা, বাংলা রচে।
প্রথম বিবাদ, বাংলা ভাষার প্রদীপ বাতি,
জ্বলল আগুন, ধরল রক্তমাখা ছাতি।
জ্যান্ত-প্রাণে রক্ত দামে খরিদ করা
মোদের বঙ্গ ভাষা, এনে দিল কাঁরা?
শ্রান্তি মাখা তৃষ্ণা মেটা মোদের বঙ্গ ভাষা,
যার আড়ালে লুকানো বিষাদ ভরা পাতা।
ওরা মোদের মায়ের ভাষা করবে বঞ্চিত,
তাই পিচঢালা রাজপথ হল রক্তে রঞ্জিত।
তাজা তরুণের শুচিত লাল রক্ত,
বুক ফাটে আঁখি ঝরে কি করি ব্যক্ত।
মা ডাকে, খোকা! খোকা! বক্ষে রেখে মাথা,
ওরে সোনা! ওরে মনা! তবু কয়না কথা।
চোখ খুলে দেখ তোর এসেছে দিদি,
ফিরবি আজ, তাই ওকে দিয়েছিস চিঠি।
চিঠি পেয়ে তোর দিদি এসেছে ছুটে,
কথা বলরে ছোট, একবার মুখ ফুটে।
রক্তে ভেজা সাদা শাট রাঙ্গা কাঁচা চেহারা,
মা-বাপ-বোন কেঁদে হয়েছে দিশেহারা।
ওর মা বলে,সব ঐ ভাষার জন্য,
সবাই বলে, মাগো! ধন্য ওরাই ধন্য।
*** "অন্তকীর্তি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
কপিরাইট © ২০১৬ এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য