মনেপরে সেই লুকোচুরি খেলা
শন্তি ঘন দুরন্ত ছেলে বেলা।
মুক্ত বাতাসে খোলা আকাশে
মনেপড়ে সদা সেভাব প্রকাশে।
হরষে চিত্ত বরষে উচ্ছ্বাস
নাচে গানে কাটে উল্লাস।
মনেপড়ে যখন হাড়ানো স্মৃতি
গোপনে হাসি শান্তির তিথি।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখ শান্তির কনা
অনাবিল শান্তি অমৃতের দানা।
ধীরে ধীরে বুনে স্বর্গ সুখ
মর্মে মর্মে ভরে ওঠে বুক।

***   ***   ***
  
হাঁটি হাঁটি পা পা
চলে সভ্য ধাঁ ধাঁ।
সকাল-দুপুর হাসি খেলা
নাচে গানে মোর কেটেছে বেলা।
গাঁয়ের সকাল মোরা সকলে
সকাল-অকাল খেলা নিত্য চলে।
এক সঙ্গে ডানায় ডানা মেলে
শৈশব-কৈশোর গেছে ঢলে।
ধীরে ধীরে বহু দূরে
আমি একা গেছি সরে,
আসে পাশে কেউ নাই
নব নবীন নিত্য পাই।
তাতে কি মোর মন ভরে?
অনু সদা তাড়া করে।
আত্মা ভাঙ্গে মন পোড়ে
শোক বানে বুক ফোঁড়ে।
যন্ত্রনাটা আরও জোরে
বয়স যখন চলে বেড়ে।
একাকী থাকি বসে
আমি পরেছি শেষে।
সেই দিন ছিল সাথে যারা
আজ আমি সর্বহারা।

***
"অন্তকীর্তি" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
কপিরাইট © ২০১৬ এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য