যে ঔদ্ধত্য শিক্ষার বুকে লাথি মারে তাকে ধিক্কার জানাই
যে ঔদ্ধত্য  ছাব্বিশ হাজার চোখের ঘুম কেড়ে নেয়,
সেই ক্ষমতাজীবীর  কলঙ্কিত জন্মকে ঘৃণা করি
মেরুদণ্ডে লাথি খেয়েও যে জনতা নির্বাক ও স্তাবক
তার ভিক্ষাবৃত্তি যথার্থ হোক - এই দাবি রাখি
যে কবি ও সুবোধ বুদ্ধিজীবী এই ঘটনার পরোক্ষ সমর্থক
তার মানবিক সত্তাটিকে নির্বোধ বলতে দ্বিধা করিনা

যারা আজন্ম নিঃশর্তে যন্ত্রণা উপভোগ করে চলে
যুগের পর যুগ সীমাহীন আদর্শে দগ্ধ হতে হতে
নিরুত্তাপ আলোক উৎস হয়ে যায়
তারা আজ ক্ষমতার নর্দমায়  শিক্ষাতর্পনে অসহায়
তাদের শিক্ষা কলঙ্কিত, তাদের শিক্ষাদান
ক্ষমতা-ধর্ষকের বেখেয়ালি কামনার উন্মাদনা মাত্র

আইনের বাড়ি আর পুলিশের লাথির বিরুদ্ধে
আজ নয়তো কবে দাঁড়াবে - মানুষ
সে কসবা হোক, বা যাদবপুর
গাজা অথবা নারায়নগঞ্জ -
ধ্বজভঙ্গ সমাজের নিখাদ লজ্জা -  জ্বালামুখ যন্ত্রণা
বিস্ফোরণের আগে  দু-চার ঝলক বারুদ মাত্র

সে বিস্ফোরণ যদি আছড়ে পড়ে শাসনে, তোষণে?
সে বিস্ফোরণ যদি উলঙ্গ করে রাস্তায় নামায়-
নেপথ্য ক্ষমতাধারীদের ?
সে বিস্ফোরণ যদি দিশেহারা করে আপনার সন্তানকে?
সে বিস্ফোরণ যদি কেড়ে নেয় আপনার নিশ্চিন্ত ঘুম?
আর দুঃস্বপ্নের ঘোরে প্রতিটি শিক্ষক যদি বলে ওঠে -

শিক্ষায় নামুক বাইশে শ্রাবণ
প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের অকাল মৃত্যু হোক
বেঁচে থাক শুধু নিরক্ষর স্তাবক ভোটার
আর ভোটমারানি ক্ষমতার দিগবিহারী উল্লাস!