গ্রীষ্মের দাবদাহে
পথিক চলেছে হেঁটে,
রৌদ্র আর তাপ
ছায়া মেলেনা মোটে।
চারিদিকে ধুধু
রুক্ষ গুল্ম বনলতা,
প্রান্তর ফেটে চৌচির
একটু জল পাব কোথা?
সারাদিন হেঁটে চলে
ব্যথায় পা ভার,
একটু বিশ্রাম নেব
ভাবি ফাঁকা, চারিধার।
বাইরে নাই কেহ
আছে ঘরে দিয়ে খিল,
তৃষ্ণায় শুকিয়ে গলা,
জলশূন্য খাল বিল।
অনেক হাঁটার পরে
দেখা গেল একটি কুঁড়ে,
বৃদ্ধা এক দাঁড়িয়ে দরজায়
বলে, এসো মোর ঘরে।
অচেনা তুমি কোথায় বাড়ি?
হাঁটছো এই পথ ধরে।
শুকনো মুখে করুন স্বরে
বলি, তৃষ্ণার কথা,
দুঃখ পেয়োনা বৃদ্ধা বলে,
জল দেবো বাংলার সন্তান,
পেয়ো নাকো ব্যাথ।