(আগের একটি লেখা থেকে)
অনেক হয়েছে, ভাবি অবসর নেব।
আর লেখা নয়, এইবারে আমি
কবিতাকে ছেড়ে দেব।
কাব্যকে ভুলে যত হতে চাই সুখী-
কিছুতেই তবু ছাড়ে না আমাকে
কবিতা পোড়ারমুখী।
বিদ্যুত সম কবিতা মাথায় ছোটে,
ঘুম কেড়ে নিয়ে রাতে ও বিরাতে
মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
নাও যদি লিখি, সে কী জ্বালাতন,
শান্তি আসে না মনে।
লিখতে গেলেও ঘাম ছোটে ক্ষণে ক্ষণে।
এত কাল ধ’রে যত্নে লেখনী ধ’রে -
যা হোক কিছু কি লিখতে এখন
পারি হেলা ফেলা ক’রে !
যত ভাবি তাই, লিখব না আর,
লিখব না কবিতাকে -
মনের ভিতরে পথ ক’রে নেয়
তবুও সে কোন্ ফাঁকে।
অন্য কিছুতে যতই বিভোর থাকি,
মায়াবী কবিতা কোন্ মায়াজালে
দেবেই আমাকে ফাঁকি।
ভাবি কোনো কালে কবিতাকে হায়
কেন যে বেসেছি ভালো !
জেঁকে ব’সে আছ হৃদয়ে এখন
ক’রে সে আসন আলো।
তাই তো বুঝি না কোন্ পথ দিয়ে হাঁটি,
প্রশ্রয় পেয়ে কবিতা আমার
সব ক’রে দেয় মাটি।
যত কাজ প’ড়ে থাকে।
হাত ছানি দিয়ে কবিতা কেবলই
কুহেলীর মতো ডাকে।
জানি না আমাকে এভাবে জ্বালিয়ে
কোন সুখে হয় সুখী !
যৌবনে প্রিয় সখী হয়ে থাকা
কবিতা পোড়ারমুখী।
---------------