কবির লেখায় কেমনভাবে
কোত্থেকে মিল আসে?
ঘুরেই বেড়ায় মিল যে আশেপাশে।
অন্তরে যে সত্যি কবি,
লিখতে যে জন জানে -
মিলগুলি হয় আপনি হাজির
তার লেখনীর টানে।
শব্দ আছেই,
লিখতে যেটির যেই প্রয়োজন পড়ে
ছন্দ ও মিল বজায় রেখেই
টুপ ক'রে ঠিক ঝরে।
মাত্রা মিলের সঙ্গেই হয় অর্থবহ লেখা।
প'ড়েই পাঠক ঠিক বোঝে তা
জোর ক'রে নয় শেখা।
ছন্দ মিলের গোলক ধাঁধায় প'ড়ে -
যে সব কবি মরছে ঘুরে
একটু না হয় দেখুক প্রয়াস ক'রে।
উপরের লেখাকে হয়তো নিজের কৈফিয়ত বা কথার কারসাজি বলা যেতেই পারে। তাই একটা বাস্তব এবং খাঁটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা আর একটু স্পষ্ট করার চেষ্টা করি। কাব্য জগতে হালের তরুণ তুর্কি শ্রীজাতর একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া ঝরঝরে আধুনিক কবিতার কিছুটা অংশ তুলে ধরলে অধমের ব্যক্তব্যটা হয়তো আর একটু জোরালোভাবে উপলব্ধি করা যাবে।
" জন্মদিন "
শহরে ঘুরেছি সারাদিন ।
ভেজা ভেজা হাওয়া, আর
রাস্তাঘাট সামান্য মলিন।
এছাড়া সমস্ত কিছু একই আছে,
সুস্থ, স্বাভাবিক।
তুমি ছিলে গতকাল,
আজ তার পরের তারিখ।
কী একটা অথচ যেন নেই...
চা-দোকান, বাস-স্টপেজ,
ভিড়ে ভর্তি পাঁচমাথা -
শান্তি মিলছে না কিছুতেই।
--------------
কী অবলীলায় চ'লে আসে ছন্দ মিল যুক্ত ভাবের মাধুর্য ও একই সাথে তাৎপর্যপূর্ণ গভীর ব্যক্তব্যও।
তা ব'লে অবশ্য ছন্দ মিল ছাড়া কি কবিতা হয় না? নিশ্চয়ই হয়। তবে সেই ঢংয়ে উৎকৃষ্ট কবিতা লিখে পাঠকের মন জেতা বোধহয় আরো শক্ত ব্যাপার।
°°°°°°°°°°°