এতকাল লেখনীটি ধ'রে -
চেয়েছি নীরবে ধীরে
ফোটাতে যে বাণীটিরে
তুলতে যে সুললিত তনুটিকে গ'ড়ে
এ লেখনী ধ'রে -
কিছু তার পেরেছি কি, জানি না সে কথা
ফুল হয়ে উঠি ফুটে, ছিল ব্যাকুলতা,
আহা মনে সাধ ছিলো সেই কবে থেকে
সৃষ্টির বুকে ছোট চিহ্নটি রেখে
মনে যে ছন্দ দোলে
তাতে দুটি কথা ব'লে
তারপরে যাব ফিরে, যাব আমি ঝ'রে
বিকাশের তৃপ্তিটি নিয়ে অন্তরে
এ লেখনী ধ'রে।
এত কাল লেখনীটি ধ'রে -
ছন্দের যে সাধনা
চলেছে যে আরাধনা
নিজেকেই ঘ'ষে মেজে বহু লিখে প'ড়ে
এ লেখনী ধ'রে -
জীবনের সুদীর্ঘ পথ স্রোতে ভেসে
ভেবে দেখি পড়ন্ত বেলাটিতে এসে
রেখে রাঙা হৃদয়ের বাতায়ন খোলা
কারো মনে কভু দিতে এতটুকু দোলা
কোনোদিনও পেরেছি কি
আনমনে যা-ই লিখি
তাই দিয়ে কোনো সাঁঝে নয় কোনো ভোরে
বেদনায়, নয় কোনো খুশির প্রহরে,
লেখনীটি ধ'রে।
সখের লেখনী হাতে ধ'রে -
কবিতাকে ভালোবেসে
জীবন প্রান্তে এসে
ম্লানালোকে দেখি আজ বেলা এল প'ড়ে,
এ লেখনী ধ'রে।
তার টানে অঙ্কিত ছড়া ছবিগুলি
হয়তো যাদের 'পরে জ'মে গেছে ধুলি
একদিন কারো কাছে ছিল বুঝি প্রিয়
ছন্দটি হয়তো বা ছিল রমণীয়,
আশা কি করতে পারি
কণাটুকু আজ তারই
তুলে নেবে হাতে কেউ কিছু মায়া ক'রে,
নাকি যাবে অনাদরে ধুলিতেই ঝ'রে!
প্রবাহের তোড়ে।
----------