একলা হয়ে গেলাম বলে
খুব কেঁদেছিলাম সে রাতে ।
আমার পাসে থাকবেনা তুমি,
কি ভাবে চলবো এই আমি?
কুচবিহারের সেই বাড়িটার
প্রতিটা দেয়াল সাক্ষী সে রাতের।
বলেছি ফিরবেনা না তুমি
আমি ডাকি যত ভাবে।
মদের নেশায় বিভোর থেকেও
বুঝে ছিলাম কতটা হচ্ছি একা,
বুকের বা পাসে হাতটা রাখলে
পাবোনা আর তোমার দেখা।
দিন কয়েক পার করে
এসেছি আবার আমার ঘরে।
সব কিছু কেমন যেন শুন্য লাগে,
কি যেন হারিয়ে বসেছি
যা ছিলো জীবন জুরে,
আমি ছিলাম তাকে ঘিরে।
কেটে গেছে অনেক রাত,
আর আসেনা স্পর্শে তোমার,
আধাঁর রাতে একলা হাটে
ঠিক এসেছি জীবন পথে।
এখন সময় একলাই কাটে
বেশ কিন্ত আছি বটে।
সময় চুরির বায়না নেই,
ফোনের চার্জের তোয়াক্তা নেই।
নেই আবদারে বাড়াবাড়ি
হাতেও নেই সময় দেখার ঘড়ি।
অফিস শেষে বাড়ি ফেরা
কান্তিতে বন্ধহয় চোখ জোড়া।
রাত জাগার সময় নেই,
ফোনের ছবির কারণ নেই,
কোন কাজে বারণ নেই,
নেই নিয়মের কড়াকড়ি,
একলা তো বেশ আছি
একলা চলছে জীবন ঘুড়ি।
ভেবেছি এবার সব বাদ
একলা একা সংসার আমার।
আর চাইবোনা দুজন হতে,
ইচ্ছে করে কষ্ট পেতে।
তোমাকে তো ধন্যবাদ দিতেই হয়
এবার একটা সঠিক সময়,
একলা জীবনের স্বাধীনতা দিয়েছ,
দিয়েছ একলা লড়ার শক্তি।
মুক্ত হয়ে ঘুরছি আমি
নেই ঘরে ফেরার তারা,
ত্রিশ বছর পরেই জীবনের পরিবর্তন,
যৌবনে ধরেছে খড়া।
সামনের দিন গুলোতে
চাইনা নতুন কোন মুর্তি,
তুমিতো সব দিয়েছ,
দিয়েছ এ একলা থাকার শক্তি।
একলা ছিলাম একলা হয়েছি,
মাঝে নাহয় একলাই কষ্ট পেয়েছি।