হাটাৎ করেই চাকরির ঘনঘটা,
ভাগ্যদেবীর একটু কৃপাদৃষ্টি হলো,
পর পর দুই চাকরির মুখদর্শন হলো,
একটা আরেকটির চেয়েও ভালো,
তুমি যেমনটা চেয়েছিলে,
আমার ইচ্ছে আর পূর্ণতার ঘর,
একটি সুন্দর চেয়ার নিজের আশ্রয়,
দিনে মাঝে দুই একবার স্যার ডাক শোনা
দৃষ্টান্ত মুলক বক্তব্য দিয়ে পথচলা,
কিছুলোকের লাইফ লাইন ,
কারো কারোর পরিচালক,
আস্থা আর সততার প্রতিচ্ছবি,
আমি এখন তেমনই স্বপ্নের কবি।
তোমার দেখানো পথে পথিক আমি,
একই পথে চলি কর্তব্যটা জানি,
শ্রম আর মেধার মুল্যায়ন করি,
সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ কামনা করি,
আমিও চাকরি করি,
শুনতে কি পাও তুমি? আমিও কর্মচারী,
আমার সামনেও টেবিল আছে
আছে কাগজের ছরাছরি,
আছে হিসেবের বারাবারি,
নিয়মের কিছু করাকরি,
মাস পরুরেই হতে আসে টাকাকড়ি।
সবই আছে স্বপ্নের মত
ছোট্ট এ সংসারে,
তুমি নেই শুধু আমাই ঘরে,
সব হয়েছে ঠিকই আজ,
অনেক সময়ের পর,
তুমি আজ নতুন স্বপ্ন তুমিই আমার পর,
তোমার কন্ঠে সুর উঠেনা
অসেনা গুরুগম্ভীর নির্দেশমালা,
এত বড় সংসারে আমি খুব একলা,
তোমার উঠোনে আমার কথার পালা,
মুখ তাই চলতে থাকে বুকে অনেক জ্বালা।
হিসেব নিকেশ করছি আজ কাগজে কলমে,
ভুলভাল হলে জরাই প্রশ্ন বানে,
নিজের ভেতর কিছু প্রশ্ন ঘুরে বারবার,
কি অপরাধ ছিলো আমার?
কেন ঠকালে এমন করে?
কি হবে আজ চাকরি করে?
তুমিই যদি অন্যের ঘরে।
সব ব্যস্ততার সারা করে,
মাথায় যখন ব্যথা করে
তোমার স্পর্শ মনে করে
আমি কাঁদি চেয়ের ধরে,
চাকরি তুই আসবিই যদি,
কেন এত সময় নিলি?
সব হারিয়ে কেনই বা এবার এলি।