বাবাই- বাবাই- এই বাবাই....

তাকাও আমার দিকে,
আমি তোমার সামনে বসে আছি,
তোমার শহরে তোমার চেনা গন্ডিতে,
তোমার আমার  স্বপ্নের ঘরে,

আমাদের মাঝে এক ফুটের দুরত্ব,
তবু যেন আকাশ সমান মনে হচ্ছে,
আমি তোমাকে যতই কাছে চাচ্ছি
তুমি ততই আমার থেকে দুরে ।

তোমার গায়ের গন্ধ আমার নাকে পাচ্ছি,
তবু দুরত্বটা অনুমান করা কঠিন হচ্ছে,
একটা অদৃশ্য দেয়াল অনুভব হচ্ছে,
তার উচ্ছতা আমার পরিমাপে আসছেনা।

বাবাই- বাবাই- এই বাবাই,

তোমাকে খুব ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে,
তোমার হাতটা ধরতে দেবে,
তোমাকে খুব করে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে,
একটা বার আমার চোখে চোখ রাখবে ?

একটা দুধ চা হবে বাবাই ?
খুব কড়াকরে সেই আগের মত...
তুমি তো চায়ের শহরে থাকো,
দুজনে এক সাথে চা খাবে ?

তোমার শহরে মেলা বসেছে,
নিয়ে যাবে একবার - একটা দুল নেব,
তোমার শহরের ফুচকা খাওয়াবেনা ?
দেখাবেনা তোমার শহর ঘুরিয়ে ?

বাবাই- বাবাই- এই বাবাই....

ব্যস্ততা তোমাকে গ্রাস করছে আজ,
তুমিও লুকাচ্ছ আমার থেকে,
আমিও যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি,
তুমিও একটা জালে জরিয়ে পড়েছে।

তোমার শহরে একা বাইকে ঘুরেছি,
বড্ড আসহায় মনে হলো নিজেকে,
কেন যেন খুব ধীরে চলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো,
আরো একটু প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে ইচ্ছে হলো এ শহরে ।

তোমার শহরে তোমার স্মৃতিতে ভরপুর,
এর ইতিহাস আমার অজানা,
তবুও দেখে যাই এশহরেই তোমার সব কিছু,
আমার শহরেতো তোমার পদচিহ্ন পাই আজো।


বাবাই- বাবাই- এই বাবাই.. শোন

অনেক কথা রেখে গেলাম শহরের বুকে,
তোমার ইচ্ছে হলেই শুনে নিও,
মন চাইলেই ডেকো আবার,
তোমার শহরে আমাকে খুজে পারে।

গুড়ো গুড়ির শহর তোমার গুড়িয়ে দিয়েছে সব,
আবার নতুন করে গড়ছি  আমাকে,
তাই হয়তো নীরব ...

তোমার কাছে একটা চাওয়া,
একটাই দাবি,
"ভালো থেকো সবসময়
দেখতে চাই তোমার সুখের ছবি"।