গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে
আঁকা বাঁকা সরু পথ,
পথের দু পাশে সোনালী ধানের
গন্ধে মন ভরে যায়।
ধানের ক্ষেতে শালিকের কিচির মিচির শব্দ
আর ঘাস ফড়িং এর লাফা লাফি,
একটু দূরে তাকালেই তাল গাছের সারি
যেন মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তালগাছ থেকে ভেসে আসা
কোকিলের কূহ কূহ শব্দে
যেন মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
হালকা মৃদু বাতাসে লতানো তরুলতা
যেন ঢেউয়ের মত দুলছে,
আর বড় বড় কলাপাতা গুলো যেন
হাতির কানের মত ইশারা দিয়ে
কাছে ডাকছে।
আর যেন বলছে
ওহে পথিক বৃষ্টি এল,
তুমি আমার ছাতার নিচে আসো
আমি তোমাকে বৃষ্টি থেকে বাঁচাবো।
ঐযে দেখ আকাশের কালো মেঘ ফুঁড়ে
এক ঝাক সাদা বকের সারি
যেন হাসতে হাসতে উড়ে আসছে।
ওরা কপতাক্ষের তীরে বসে
ওদের লম্বা লম্বা ঠোঁট দিয়ে পুঁটি মাছ ধরবে,
আর ওদের পায়ের আঙুল দিয়ে নদীর বালুচরে
নানান ঢংয়ের ছবি আঁকবে।
এই কপতাক্ষ যেন হাজার বছরের সাক্ষী হয়ে
আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে।
নদীর পাশ ঘেষে কিছুদূর যেতেই
সূর্যমুখী ফুলের মাঠ
যেন চোখ জুড়িয়ে দেয়।
ফুলের বাগানে মৌমাছির গুনগুন শব্দে
যেন মন আনন্দে নেচে ওঠে,
ফুল থেকে মধু আহরন করে
ওরা বট গাছের বিশাল একটি ডালে
ওদের মৌচাকে জমা করছে।
প্রকৃতির টানে যেন সেই গ্রামেই
ছুটে যেতে মন চায়।
কোকিলের সুর,বকের সারি,সূর্যমুখীর মাঠ
শালিকের কিচির মিচির শব্দ
যেন আজও কানের ভিতর বাজে।
তাই ফিরে যাব,সেই সবুজের গাঁয়
ফিরে যাব,সেই সবুজের গাঁয়
ফিরে যাব,ফিরে যাব।