((কবিতাটি সকল নির্যাতিত মানুষকে উৎসর্গ করা হলো))
আমি এতো জোরে চিৎকার করছি
কিন্তু,ওরা কি শুনছে না?
ওদের অত্যাচারে,
শরীরের প্রতিটি লোমকূপ থেকে
বৃষ্টির মতো রক্ত ঝরছে,
শরীরের রক্ত মাংসগুলো যেন
হাড় থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে,
কিন্তু, কিন্তু,ওরা কি শুনছে না?
আমার চিৎকার শুনে,
পানি থেকে হাঙ্গর ডাঙ্গায় উঠে আসতে চাইছে,
বনের বাঘ ওদেরকে হত্যা করার জন্য
এগিয়ে আসতে চাইছে,
কিন্তু, আমার চিৎকার, ওরা কি শুনছে না?
ওদের রক্ত চক্ষুর লাল আভা,তাহলে কি
ওদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে?
এভারেস্টের পাথর কি ওদের
শ্রবনশক্তি ধংস করে দিয়েছে?
আমার চিৎকার শুনে,
চাঁদ তার আলোকে লুকিয়ে নিয়েছে,
সাপ তার শিকার ছেড়ে দিয়েছে,
বৃক্ষ তরুলতার ক্রন্দনে
চারদিক যেন ভারি হয়ে আসছে,
কিন্তু,ওরা কি শুনছে না?
কত মানুষ আসলো গেল
কিন্তু, এই নিরীহ, রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত
মানুষটির দিকে,
কেউ তাকালো না।
সর্বশেষ রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়
একটু পানি চাইলাম,
কিন্তু,ওরা তো শুনলো না।
ওদের অত্যাচারে শরীরের সমস্ত রক্ত গড়িয়ে
স্রোতের মত বয়ে যেতে লাগলো,
কিন্তু, ওরা কি দেখল না?
মৃত্যুর পরে আজও চিৎকার করছি,
কিন্তু, কেউ তো শুনল না।
হায়রে মানুষ,হায়রে পৃথিবী।
রচনার সময়:১০/৫/২০১৭ ইং
রোজ: বুধবার।
সময়: সকাল ৯ ঘটিকা।