আমি ক্ষুধার্ত, একমুঠো ভাত দে...
আমি তৃষ্ণার্ত,এক ফোটা জল দে....
একমুঠো ভাত আর একফোটা জল দিয়ে
আমার ক্ষুধার জ্বালা মিটাবো।।

যদি না দিস,
ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে....
তোদের হাড্ডি চিবিয়ে খাবো।।

আর তৃষ্ণা মিটাতে....
সাগরের সকল জল শুকিয়ে দেবো।।

তখন তোরা,
ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট বুঝতে পারবি।

ক্ষুধার্ত মানুষের পৃথিবী, বড় ভয়ঙ্কর
বড় নির্দয়,বড় নিষ্ঠুর......

ক্ষুধার রাজ্যে, মানুষ, মানুষের রক্ত খাই,
মাংস খাই,মানুষ, মানুষকে হত্যা করে,
ক্ষুধার রাজ্য, বড় যন্ত্রণাময়।।

ক্ষুধার যন্ত্রণায় আজ এ রাজ্যের মানুষ
হায়েনার চেয়ে হিংস্র,কুকুরের চেয়ে নির্লজ্জ,
বাঘের চেয়ে শিকারী আর মানুষের ছোবল
সাপের চেয়েও বিষাক্ত.....

তাই
এই ক্ষুধার রাজ্যে
যদি আর কোন শিশুও জন্ম গ্রহণ করে,

তাহলে কিন্তু......
ওই শিশুকেও চিবিয়ে খাবো।।


দ্রষ্টব্য : এখানে শেষ লাইনটি ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার তীব্রতা, ক্ষুধার জ্বালার চুড়ান্ত অবস্থা বুঝানোর জন্য রুপক অর্থে ব্যবহৃত  হয়েছে।ধন্যবাদ।

রচনার সময়:১১/৫/২০১৭ইং
রোজ:বৃহস্পতিবার।
বিকাল: ৫ ঘটিকা।