ভোরের কালো ঘুচে, চোখের অশ্রু মুছে
নবারুন এলো উঠে,
অরুণালোকের কাছে, যেজন রয় পাছে
সেথা স্বাধীনের ফুল ফোটে।
কবির মিষ্টি কলমে, পাতার ওপর নরমে
ঝরে শান্তির কালি,
রচিল সংবিধান, পূরিতে ক্ষতস্থান
এলো আইনের ফুলডালি।
কিছুকাল তবে , ভালোই নীরবে
কাটছিলো তো বেশ,
দ্বিপ্রহরে আসি, লহে অভিলাষী
শান্তির সুখ-কেশ।
হে নিসর্গীয় নারী , ধরো এবে কান্ডারী
রুখিতে হেন দৈন্য,
করি তব আবেশ, করহ নিঃশেষ
ভাঙো তব মৌন।
যেদিকেই যাই , দীনের কেহ নাই
নিষ্ঠুরে ভরা জীবন,
পিছে করে খুন, সম্মুখে গায় গুণ
ওপরে আলিঙ্গন।
নির্মমতার জন সব, কাট কাট কলরব
রক্তেই সব সমাধান,
শান্তির পরকীয়া, লয়ে বিদীর্ণ হিয়া
হারিয়েছে অভিধান।
এসো এসো কবি, তুলে ধরো ছবি
সমাজ দর্পণ রূপে,
দিয়ে যাও শ্বাস, শান্তির করো চাষ
এহেন পাষাণ স্তূপে।
অরুণ উদিত কালে, সময়ের হায় ভালে
নবোদয় অভিশপ্ত,
পাইয়াছো দিন-ক্ষণ, করহ উন্মোচন
শান্তি যে ছিল সুপ্ত।
ঝঞ্ঝা করো মুক্ত, বিদ্বেষ করো লুপ্ত
ছড়াও অমৃতবাণী,
শেষ গোধূলী বেলায়, বধূরা প্রদীপ জ্বালায়
বাজায় শঙ্খধ্বনি।