কবিতা লিখি লিখতে ভালোবাসি আর কখনো কখনো এখানে সেখানে কবিতা সম্মেলনে কিছু কবিতা পাঠ করেও থাকি তাই বলে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেখানে যজ্ঞ হোম গীতা পাঠ চলছে সেখানে স্বরচিত কবিতা পাঠ!! ভাবলেই রোমাঞ্চ ধরে প্রাণে। হ্যা, এমনই একটি অভিজ্ঞতা হলো গতকাল।
আমার লেখা কবিতার প্রেমিক একজন সে ধর্ম কর্ম করে থাকে। রাম মন্দিরের ভগবান রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ কলোনি তারা হোম যজ্ঞ গীতা পাঠ অনুষ্ঠান করেছিলেন বেশ বড় পরিসরে। দু-তিন দিন আগেই তিনি আমাকে একটি ধর্মীয় কবিতা লেখবার অনুরোধ করেছিলেন যেটি আমি ওখানে পাঠ করবো। বিভিন্ন ধরণের কবিতা লিখলেও ধর্মীয় কবিতা আমি লিখি না বললেই চলে। দু-তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তেমন কোন উদ্যোগ আমি নিতে পারি নাই বা মন করে নাই। তবে ঠিক ২১ তারিখ রাত তিন টায় ঘুম ভেঙে গেলে হটাৎ বিষয়টা আমার মাথায় উদিত হয় ও মনে মনে দু-চার লাইন হয়েও যায়। এরপর কম্পিউটার খুলে লিখতে বসে যাই এবং ৩২-৩৪ লাইনের একটি কবিতা হয়েও যায়। সেদিন সকালেই আমি লেখাটি তাকে পাঠ করে শোনাই।
ঠিক বিকাল চার টা নাগাদ ফোনে সে আমাকে অনুষ্ঠানে চলে আসতে বললে মনে কিছুটা উৎকণ্ঠা নিয়ে আমি একজন কে সাথে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যাই। গীতা পাঠ অনুষ্ঠান এর মাঝেই তিনি আমার লেখা কবিতাটি পাঠ করতে প্রস্তাব করলে লেখাটির সারমর্ম কিছুটা বর্ণনা করে আমার লেখা উপাসনা কবিতাটি সেখানে আমি পাঠ করি। ভক্তবৃন্দরা খুবই মনোযোগ সহকারে পাঠ শুনছিল।
মজার ব্যাপার হলো কবিতা পাঠ শেষে হাততালি না দিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি, ঊলুধ্বনি শঙ্খনাদে মেতে উঠলে আমি রোমাঞ্চিত হই আর বুঝতে পারি লেখাটি তাদের মনমতো হয়েছিল। হাততালি তো অনেক পেয়েছি বিভিন্ন জায়গায় তবে এমন অভিজ্ঞতা কখনো হয় নাই। তারা আমাকে তাদের অন্য সব অনুষ্ঠানে ডাক দেবে এমনটাই বলে।
"কবিতা ছাড়াও প্রাসঙ্গিক আরও অনেক বিষয়েই বলার মতো কথা থাকে কবিদের"। নিয়মের এই বল নিয়েই লেখাটি এখানে প্রকাশ দিলাম তবে মোডারেটর বা কোনও এডমিন মহাশয়ের যদি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় লেখাটি মন্তব্য ঘরে লিখে দিলে আমি নিজেই লেখাটি এখান থেকে মুছে দেব।