আলোচনা পর্যালোচনা সবাই করবেন নতুন করে তাই ত্রিপুরা কবিতা উৎসবের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের বিস্তারিত আঙ্গিকে বিবরণ দিতে গেলাম না। আমার যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলো কবিতা উৎসব ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র কবিতা আর কবিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আক্ষরিক অর্থে ত্রিপুরার এই কবিতা সম্মেলন কবিতা ও সমাজের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন ছিল। ছিল সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।
যখন দেখি নব প্রান্তিকের মত অনাথ আশ্রমের কর্ণধার যখন দেখি আই এন এস হসপিটালের মত প্রতিষ্ঠানটিকে এই কবিতার উৎসবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কবিতার সঙ্গে সংপৃক্তকরণ করবার মত মহতী উদ্যোগ এই কবিতার উৎসবে সামিল করবার একটা ঐকান্তিক প্রচেষ্টা উদ্যোক্তা কবি পরিতোষ ভৌমিক তার সর্বাঙ্গীণ সমাজ সমৃদ্ধকরণের ভূমিকা, খুবই ভালো লেগেছে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের প্রথমদিন প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশের হাই কমিশনার ও দ্বিতীয় দিন হাইকোর্টের এডভোকেট জেনারেল যা ছিল এক অভাবনীয় ঘটনা।
কবিতা উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক সমারোহ। শহরের নামি দামী নৃত্য প্রশিক্ষণ সংস্থার কর্মধারেরা কচি খুদে থেকে বড় মাপের শিল্পীদের নিয়ে মনোরম নৃত্যসমুহ ও গানের অনুষ্ঠান করেছিলেন সেখানে। অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে। সেদিন কবিতা উৎসবে প্রাণবন্ত ত্রিপুরা আগরতলাবাসী উপচে পরেছিলেন সে অডিটোরিয়ামে। সারা শহর মেতে উঠেছিল এই কবিতা উৎসবে। কবিতাকে নিয়ে এত উৎসাহ এত উদ্দীপনা বিগত বছরগুলিতে কোনো দিনই অনুভূত হয় নাই। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব উদ্যোক্তা কবি শ্রী পরিতোষ ভৌমিকের ই প্রাপ্য।
তবে যে কবিতা উৎসব ঘিরে এত আগ্রহ এত উদ্দীপনা ছিল সেদিন নাচ গান এর মাঝে মাঝে দু-একটি কবিতা আবৃত্তি দেওয়া উচিৎ ছিল বলেই মনে করছি। যেহেতু আসলে অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত কবিতাকে ঘিরেই।
কবিতা আর সমাজ একে অন্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সে কথাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ত্রিপুরার এই কবি সম্মেলন।
উদ্যোক্তা কবি শ্রী পরিতোষ ভৌমিক ও অন্যান্ত বিশিষ্ট সমাজসেবী কর্মবীর দের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আলোচনা এখানেই সীমিত রাখলাম।