প্রতিটি সঙ্গীতই কবিতা কিন্তু প্রতিটি কবিতাই সঙ্গীত নয়। কবিতার বিশালত্ব এখানেই। কবিতা এমনই যা প্রশান্তি আনে মনে। কবিতা মানে মধুরতা,সৃষ্টির উল্লাস। আবেগ কবিতার প্রাণ, কথা শিল্প আর গতিময়তা তার সুরমা। একটা কবিতা পাঠেই আনন্দ উপভোগ করা যায়, দরকার পরে না সুরায়িত আবৃত্তি বা গান রূপে শোনবার। কবিতা একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে উৎকর্ষ আর আকর্ষণীয় ভাবে ব্যথা বেদনা রাগ অনুরাগ প্রেম মহব্ব্ত আনন্দ উচ্ছাস ভক্তি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা যায়। অবশ্যই আকর্ষণীয় কথাটা খেয়াল রাখতে হবে কবিতা লেখবার সময় আর তা যদি না হয় পাঠক দু'লাইন পাঠ করেই দূর ছাই বলে পাঠ করা ছেড়ে দেবে। কবিতায় ছন্দ থাকে, তা সে পদ্যছন্দই হোক বা গদ্যছন্দ। আর এই ছন্দ আসে আবেগের কাঁধে ভর করে। কবিতা লেখা বালখিল্যতা নহে। আজ আসরে প্রিয় কবি রুনা লায়লা মহাশয়া তার আট বছরের সন্তানের একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। লক্ষ্য করে দেখলাম কবিতাটি অনেক অনেক বয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্ক লেখকের লেখার চেয়েও অনেক বেশি উৎকর্ষতা রাখে। কবিতা নিয়ে ইদানিং যে ছেলেখেলা চলছে, পাঠক কবিতা নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যায়। এটা কেন হবে। তা'হলে বাংলা কবিতার মান উত্তরণের পথে বা অবরোহের দিকে, একটু চিন্তা করুন।
(দুঃখের বিষয়। সে কবিতাটি তার পাতায় আর পেলাম না। হয়তোবা তিনি কবিতাটি তুলে নিয়েছেন)
পুনশ্চঃ তার সন্তানের লেখাটি বাংলা কবিতার আসরের নিয়মের কারণে ব্যান করা হয়েছিল তবে আমার এ লেখা ও অনিরুদ্ধ বুলবুল সাহেবের তীব্র প্রতিবাদের পর মহামান্য এডমিন মহাশয় সে লেখাটি ব্যানমুক্ত করে দিয়েছেন (আট বছরের ছেলের প্রথম লেখা ব্যান হলে তার লেখা চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই চিন্তায়) এবং তার সন্তানের নামে একাউন্ট খুলতে পরামর্শ দিয়েছেন। লেখাটি সেখানে ট্রান্সফার করা হবে। মহানুভবিতা একেই বলে আর কবিতা সম্বন্ধে যেটা আমি প্রচার করি সব সময় , 'কবিতাকে নিয়মে বেঁধে রাখা যায় না", অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় এডমিন সাহেব আর বাংলা কবিতার সকল পাঠক বর্গকে।
তার আট বছরের সন্তানের লেখাটি এইরূপঃ
ল্যাংটা ছেলে ল্যাংটা ছেলে
কোথায় তোমার বাড়ি?
নতুন জামা পড়ে এসো
চড়বো রেলের গাড়ি।
আজকে খুশির জোয়ার বইছে
দুঃখ যাব ভুলে,
ধনী-গরীব নাই ভেদাভেদ
নাওগো বুকে তুলে।
ঘরে ঘরে ঈদ যে এলো
চাঁদের পালকি চড়ে,
ফিরনী পায়েস খাব সবাই
ঈদের নামাজ পড়ে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আন্তরিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।