কবিতা বিষয়ক আমার ভাবনা। কবিতা লেখা শেখার ক্লাসের বদলে আমি এই শিরোনামে আমার লেখা প্রকাশ দেব কারণ আমি নিজেকে এমন লেখার যোগ্য বলে ভাবতে পারছিনা। কবিতা লিখে যাই মনের আনন্দে, ছন্দ আমার রক্তে মিশে আছে তবে ছন্দের পুঁথিগত কোনও বিদ্যা আমার নেই আর তা আমি আমার লেখায় প্রকাশও দিয়েছি। লিখেছি, "নাই রে পুঁথি নাই রে জ্ঞান", কাব্য, আর যা আমার রক্তে মিশে আছে বা প্রকৃতির বরদান তা পূঁথি পাঠ করে আমাকে শিখতে হবে তা মনে করি না।

অনেক কবি এমন ভাবও প্রকাশ করেছেন যে তারা মনঃসংযোগের সাথে কবিতার কী সম্পর্ক তা তারা বুঝতেই পারেন না। অনেক কবি আবার এমন ভাব প্রকাশ করেছেন যে ভাব আবেগ এগুলি কী শিখানো যায়!

এর উত্তরে বলতে পারি মনঃসংযোগ ছাড়া কবিতা লেখা যায় না আর ভাব আবেগ এগুলি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা সবারই থাকে। কথা হলো কবিতা কেমন করে সৃষ্টি হয়। কবিতা সৃষ্টি হয় ভাব আবেগে মোহাচ্ছন্ন অবস্থায়। যে বিষয়ে লেখব বা যার সম্বন্ধে লেখব তার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হবে। আমার নয় সেই বিষয়ের বা তার মন মনন চিন্তা ধারা রাগ ভয় বা ক্রোধ আত্মিকভাবে বুঝে নিতে হবে আর কাব্যের সংমিশ্রনে সে বিষয়ের বা তার কথা নিজের ভাষায় প্রকাশ দিতে হবে। তা গদ্যছন্দেও হতে পারে বা পদ্যছন্দেও। আমি একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটি পরিস্কার করবার চেষ্টা চালাচ্ছি।

পথ শিশুদের কথাই না হয় লিখি।

আস্তাকুর ভাগার আমার কিচেন
বড় সাহেবদের ফেলে দেওয়া খাবার।
বড় সাহেবেরা আমাদের ফুটের পাশের দোকানে
যেদিন মাংস কিনে বাড়ি ফেরে;
সেদিন আমার যে কী আনন্দ হয়
পাত পেতে থাকি আস্তাকুরে।

এটাকেই পদ্যছন্দে লিখছিঃ

কিচেন আমার আস্তাকুর খাবার অনেক রয়
বড় সাহেব আর মেমেতে-ফেলে দিয়ে
যায়।
আর খুশিতে ডগমগে প্রাণ-মাংস যেদিন কেনে,
পাত পেতে রই আস্তাকুরে, পলক ঝপক
বিনে।

একই কথা একই ভাব একই আবেগ দিয়ে দু'টি লেখাই লেখা। আমি যখন লিখছিলাম চোখের কোণে জল এসে গেছিল।

যাই হোক আজ থেকে "কবিতা বিষয়ক আমার ভাবনা", শিরোনামে লিখব আর আগের লেখাগুলিরও শিরোনাম পালটে দেব। কেউ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে ব্যথা পাই।

আন্তরিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।