বিভিন্ন সংস্থা কিন্তু দুঃস্থ মানুষ জনের জন্যে কাজ করে চলে অহরহ আর সমাজ ও সাধারণে নিজেদের অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। যেমন শিলিগুড়ি গ্রেটার লায়ন্স ক্লাব বিনে পয়সায় সব শ্রেণীর নাগরিকদের চক্ষু পরিসেবা প্রদান করে থাকে ও সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে সকল শ্রেণীর মানুজজনের জন্য খাবার বিতরন করে থাকে। মারোয়ারী মঞ্চ শিলিগুড়ি শীতের সময় দুঃস্থ মানুজনদের মধ্যে কম্বল বিতরন করে সামাজিক প্রতিষ্টা পেয়েছে। এমন অনেক এন জি ও সোসাইটি সমাজের সর্বহারা মানুষজনের জন্য করে থাকে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে এমন সমাজ হিতকর কাজ করে চলেছে অবিরত।
আর আমরা কবি কূল শুধু কথাতেই সার! তাদের জন্য মেটেরিয়ালিস্টিক কিছু করবার প্রবণতা কারোরই নেই।
থাকলে আমি সমাজ কবি আর কবিতা, আলোচনা বিভাগে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাতে সকলেই সাড়া দিতেন। বড় দুঃখের বিষয় দু একজন বাদে সেখানে আমার প্রস্তাবকে কেউ মান্যতা দেন নি।
কবি সমাজ আজ তাই সমাজ রোহিত। বাছা বাছা কাটা কঠিন কিছু শব্দ লিখেই তারা কবি। সমাজের জন্য মেটিরিয়ালিস্টিক কিছু করবার কোনও ইচ্ছাই তাদের নাই।
নিজেকে তাই আজ কবি বলে ভাবতে লজ্জা লাগে আর সে পরিচয় আমি কোথাও দেই না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সমর্থ তা করে যাই অবিরত।
আজ আমরা যদি মেটিরিয়ালিস্টিক ভাবে সমাজের দলিত সর্বহারাদের জন্য কিছু করতে পারতাম মাঝে মাঝে শিবির করে তাহলে কবি কূলেকে কতই না সম্মানের চোখে দেখত সাধারণে আর নিজেকে কবি বলে পরিচয় দিতেও নিজেকে গর্ববোধ করতে পারতাম।
বড় দুঃখ লাগে আধুনা কবি কূলের এমন হতশ্রী দশা দেখে।
বিনিত আপনাদের প্রিয় বা অপ্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।