কবিতা লেখা শেখার ৩য় ভাগে আমি কথাপ্রসঙ্গে নিম্নলিখিত কথাগুলি বলেছিলামঃ-
"গরু মাঠে সবুজ ঘাস খাচ্ছে" -গদ্যে লিখলে এভাবে লিখব
কিন্তু পদ্যের ভাষায় এই কথাটাই আমি লিখবঃ
"খাচ্ছে গাই সবুজ হরা মাঠ চরিতে ঘাস।"
প্রথম গদ্য লেখাটি নেহাত গদ্য কথন কিন্ত যখনি পদ্যের ভাষায় লিখলাম তা'তে একটা ছান্দিক বোধ এসে গেল যা কি'না সুর করেও গাওয়া যেতে পারে এবং লেখাটিতে যে ছন্দ তৈরি হলো সেই ছন্দে লিখে গিয়ে তাকে একটি সম্পূর্ণ কবিতার রূপও দেওয়া যেতে পারে। আমি চেষ্টা করে দেখছি লিখতে পারি কী না।
খাচ্ছে গাই সবুজ হরা মাঠ চরিতে ঘাস,
রাখাল বালক বাজায় বেনু
গাছের তলায় খাস।
বৃন্দাবনে ব্রজবাসী ঢোলক বাজায় গোল,
বাঁশির তাল কাটতে রাখাল
এতই শোলগোল।
ছিপছিপে কায় শ্যামল বরণ কৃষ্ণকলি খাসা,
ঝুমুক ঝুমুক নুপুর চালে
চললো রাধার বাসা।
ওরে ভাই গাই বাছুরে দেখবে কে'রে বল,
প্রেম যমুনায় নাও বাইতে
করলি কেনে ছল।
আকাশ মানে মেঘ জমেছে বায়ুর হলাহল,
আর মেঘেতে গর্জনেতে
করছে কোলাহল।
অভিসারে মত্ত রাধা কৃষ্ণকলির গানে,
হাম্বা হাম্বা রব তুলে গাই
ছুটলো নদীর পানে।
মায়াজালের রেশ কেটে যায় রাখাল করে হায়,
রাধায় ছেড়ে দৌড়ে সে যে
গাই ধরিতে যায়।
কবিতার প্রথম কলিতে তৈরি হয় ছন্দ। তাই শুরুর প্রথম লাইনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছন্দ হ'ল এমনই যা তরঙ্গাকারে মন মস্তিস্কে বাহিত হয়ে থাকে।
ইচ্ছা থাকলে প্রথম লাইনটি দিয়ে আপনারাও দুচার লাইন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
নিবেদন ইতি আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।