বিকালে শিলিগুড়ি স্টেশান ও সংলগ্ন বস্তি এলাকাতে প্রতিদিন প্রায় এক ঘন্টা সময় কাটাই। প্রায় নেশার মত দাঁড়িয়েছে ব্যাপারটা। ওরা আমার "একটি ছেঁড়া জামার আত্মকাহিনী", কবিতাটি খুবই পছন্দ করে। রাইটার হিসেবেই জানে আমাকে। কালু নামে একটি ছেলে বেশ কয়েকদিন হ'ল আমায় ও'কে নিয়ে একটা কবিতা লিখে দেবার অনুরোধ করছিল। বাপ মরা ছেলে, কাজ করে বড় হয়েছে। আজ সচ্ছল। এসব নিয়ে। গতকাল ওখানে বসেই কাগজ পেন চেয়ে নিয়ে ওকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে দি। আজ তা তিন কপি ছাপিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওকে দিয়েছি। পাঠ করে মানেও বুঝিয়ে দিয়েছি। কবিতাটি এইরূপঃ
কালু
হিম্মত আর লগন ধরি নামটি আমার কালু,
দেয়নি খোদা খোদ কামাই
ধরতে প্রাণের আলো।
কর্ম মোর প্রাণ ঠিকানা আর প্রেমেতে রই,
কর্মেতে প্রাণ জীবন গান
আর ঘরেতে সই।
কালু আমি আলোয় ভরা আর লোকেতে কয়,
দেশ দুনিয়া আর শত প্রাণ
হৃদয় ধরে রয়।
কালোর দেশে জীবন কাটাই ধর্ম মানি কাম,
আর দুনিয়া ছুটছে বেগে
ধরতে আসমান।
বাপ আমায় শিক্ষা দিল কর্ম দিল প্রাণ,
আপন জগৎ কর্মে মতি
কর্মেতে গাই গান।
বেশ কয়েকজন কবিতাটি পাঠ করা আর তার মানে শুনছিল। হটাৎ একজন প্রশ্ন করে,"এটা আপনি লিখেছেন",। আমি উত্তর দি "হ্যা, আমি তো রাইটার"। এরপর তার প্রশ্ন, "আপনি কত নেন লিখতে?"
আমি বলি, "কিছু নেই না, আপনার কিছু লিখাতে হলে, প্রেম বা ঘর সংসার, বিয়ে বা অন্নপ্রাশন", আমায় বলবেন, আমি বিনে পয়সায় লিখে দেব।
ফিরে এলাম ওখান থেকে আর মনে মনে হাসছি শুধু। শুভকামনা। আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।