"হারিয়ে দ্যুলোক দ্যুতির পানে ধ্বজা ধরি", জানি না কী ভাবে বা কোথা থেকে উড়ে এলো আমার মনে আর আমি সুর তাল সহযোগে শুনতে পারলাম কানে, আর কখন জানেন যখন আমি রাত এর দিকে কম্পিউটার নিভিয়ে আমার রাতের খোরাক আনবার উদ্দেশ্যে চেম্বারে চাবি লাগাচ্ছিলাম, তখন।
না জানি কোথা থেকে ভেসে আসা সে শব্ধ ধ্বনি তাল লয় এত ভালো লাগলো যে পুনরায় বসে গেলাম কম্পিউটার খুলে ঠিক যেমন পরীক্ষায় এক লাইন দিয়ে ভাব সম্প্রসারণ করতে দেওয়া হয় ঠিক তেমনই আমি যেন পরীক্ষায় বসে গেলাম আর ভাবের ঘোরে নিমেষেই সৃষ্টি হয়ে গেল গীতিকাব্য, "আরাধন"। আমি নিজেই হতবাক।
সে লেখার প্রথম স্টাঞ্জাটা লেখা হয়ে গেলে এত ভালো লাগে যে আমি প্রিয় কবি বিমল মন্ডল মহাশয় কে ফোন করে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করে সেটুকু লেখা তাকে শোনাই। আর বলি যে এটা আমি এক্ষুনি আরও লিখে এটাকে শেষ করবো।
লেখাটি শেষ হবার পর না হলেও সুর করে ২০ বার পাঠ করেছি আর আনন্দের অতিশর্যে প্রিয় কবি সুমিত্রা দত্ত মহাশয় কে সুর করে অত রাতেও পাঠ করে সে লেখাটি শুনিয়েছিলাম যদিও গান আমি করতে পারি না।
এর আগেও বহুবার এমন হয়েছে স্বপ্নেও পাই তবে অনেক চেষ্টা করে মনে থাকে না। এবার জাগ্রত অবস্থায় পেয়েছিলাম আর বার বার উচ্চারণ করে তা মনে রেখেছিলাম। এবার যেন প্রথম লাইনের কলিটি আমি স্পষ্ট শুনতে পেয়েছিলাম আর সাথে সাথে সে সুর তালে আমার মন নেচে উঠেছিল।
এর কোনও ব্যখ্যা আমার কাছে নাই। জানি না পাগল হয়ে যাচ্ছি কী না!