"বিশ্বত্রাস করোনা"
লেখক মৈনাক দাস
পৃথিবী টাকে ঢেকে দিয়েছে
ভয়ানক ভাইরাস,
মানবজাতি অসহায় বড়ো
বিশ্বব্যাপী ত্রাস।
প্রশ্ন ঘুরছে শয়ে শয়ে রোজ
উৎস কোথায় তার?
সত্যই কি সে প্রকৃতিগত
নাকি মানুষেরই উপহার!
এরই মাঝে কোথাও কখনো
চলছে রাজনীতি,
ভেবেই বড়ো অবাক লাগে
এ সেই মানবজাতি!
মায়ের কোলে ছেলের মৃত্যু
ছেলের কোলে মা,
মনে রেখো ভাই, "করোনা" কিন্তু
জাতিভেদ মানে না।
বর্তমান বিশ্ব আলোড়িত করা মৃত্যু ভাইরাস করোনা। তার থাবা এতটাই প্রবল যে সমগ্র বিশ্বের প্রবল প্রতাপশালী দেশ পর্যন্ত পযুদস্ত। কাতারে কাতারে লোক সংক্রমিত হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে আর মারাও যাচ্ছে। ভয় শঙ্কায় পৃথিবীব্যাপি সমস্ত দেশ লক ডাউন করে দিতে বাধ্য হচ্ছে শহর নগর বা সমস্ত দেশটাই। এ রোগের এখনো পর্যন্ত কোনও টীকা বা প্রতিষেধক নাই। বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত ঔষধ প্রয়োগে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। কেউ কেউ ভালো হচ্ছেন আবার কেউ বা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছেন। অল্প বয়সের তরুণ যুবক থেকে বয়স্ক সকলেরই মরবার নজির রয়েছে। এ ভাইরাস পরমাণু বোমার চাইতেও ভয়ঙ্কর। জ্যামিতিক হারে হয়ে চলে এর সংক্রমণ। গোষ্ঠী সংক্রমণ যখনি শুরু হয়ে যায় কোনও দেশে তখন রোগটি মহামারীর আকার ধারণ করে আর সরকারের হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। আর সেই কারণেই দেশে দেশে চলছে সোস্যাল ডিসটেন্স বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবার বিধান। নির্দিষ্ট সময় ঘরে বদ্ধ থেকে ভাইরাসের এ চেইন রিয়াকশন কে ভেঙে দেবার পরিকল্পনা। যেহেতু কোনও সারফেসে এই ভাইরাস ২৪ ঘন্টার ওপর বেঁচে থাকতে পারে না। আঘাত সেই জায়গাতেই। এত কিছু করেও কিন্তু এ ভাইরাসের গতি রোধ করা সম্ভবপর হচ্ছে না। শয়ে শয়ে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন এ মারণ ভাইরাসের শিকার হচ্ছে আর মারা যাচ্ছে।
কবির মনে প্রশ্ন জেগেছে যে এই ভাইরাস কি সত্যই প্রকৃতিজাত অথবা একে তৈরি করা হয়েছে ল্যাবরেটারিতে মারাত্মক সমরাস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত করবার জন্য। স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রশ্ন আজ সারা বিশ্বের। আমরা মানবজাতি বিজ্ঞানে এতটাই উন্নত যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞানী কূল একটু চেষ্টা করলেই এ কাজ তারা করে ফেলতে পারেন আর বিগত কয়েক দশক ধরেই বিভিন্ন দেশ বায়োলজিক্যাল উয়েপেন তৈরি করতে নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছে। চিনের উহান প্রদেশে সে দেশের এমন গবেষনাগার রয়েছে এবং সেই শহর থেকেই এই রোগের প্রকপ শুরু। এমন তো নয় চিন দুনিয়ার সমস্ত দেশের ওপর একচ্ছত্র অধিকার কায়েম করবার জন্যই পরিকল্পিত ভাবেই নিজ দেশের কিছু ক্ষতি সাধন করে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে এ মারাত্মক ভাইরাসকে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে চিন কিন্ত এ রোগের কবল থেকে এখন সম্পূর্ণ মুক্ত আর এখন তাদের অর্থনীতি যেখানে বিশ্বের আর সমস্ত দেশ করোনায় পযুদস্ত সেই সময়ে মজবুত পর্যায়ে উপণিত। সেখানে কলকারখানায় এখন বিপুল ভাবে করোনার কিট , মাক্স, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে আর দুনিয়ায় রপ্তানি করবার জন্য। আরও অনেক অনেক ভাবে চিন বিভিন্ন দেশকে বিপর্যস্ত করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। সাধারণ ভাবেই প্রশ্ন জাগে মনে তাহলে কি তাদের কাছে আগে থেকেই ভ্যাকসিন তৈরি করা ছিল এ রোগের। যার প্রয়োগে রাতারাতি করোনামুক্ত হয়েছে সে দেশ।
ইতালিতে চাইনিজ একজন মেয়ে, "আমি চিনি ভাইরাস নই", বলে জনে জনে আলিঙ্গন করে সে দেশে করোনা ভাইরাস কেন ছড়িয়ে দিয়েছিল বা করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে চিন সে সময় প্রচুর চিনা নাগরিক কে বিনা টেষ্টে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তা কি শুধুমাত্র করোনা ছড়িয়ে দেবারই উদ্যোগ ছিল!
ব্যাপারগুলি বিশ্বের আর সমস্ত দেশের কাছেও জ্ঞাত আর সেই কারণেই ব্রিটিশ আইনজীবী বহু ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে চিনের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
কবির মন এমন সব মানবিক চিন্তায় আজ ভারাক্রান্ত। তিনি বেদনা অনুভব করছেন এই দেখে যে জাত ধর্ম নির্বিশেষে মায়ের চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু হচ্ছে যেমন তেমনই ছেলে অসহায় ভাবে দেখছে তার মায়ের করুণ পরিণতি। আজ শুধু কবি নন বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে আছেন।
মারণ রোগ করোনা নিয়ে সময়োচিত সুন্দর কবিতা পেশ করবার জন্য মাননীয় প্রিয় কবির প্রতি রইল উষ্ণ অভিনন্দন। জয় হোক মানবতার। জয় হোক মানুষের।
বিনীত আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।