"দুঃসংবাদ"
লেখকঃ সুপর্ণা

চৌকাঠ আর দুটি থালার সংসার,
সূচনাটা এমনই হয়েছিল।
তারপর নানা ঘাত প্রতিঘাত,
সামলে নিলে, ধীরে ধীরে যৌথ হলো।
খোকন জমেছে টিভিতে। ছোট্ট
খুকী সিঁড়ির ধাপে,
কে জানে কোন মহিমায় চাঁদ দেখলেই খুশি হত।
এরা ছাড়া সবাই বড়ো,
দুচারজনে মগ্ন দাবায়, বাকিরা,
ব্যস্ত যে যার নিজের কাজে।
এটুক গল্প, ভালোই সব
যেমনটা হয়।
দরজায় টোকা অন্ধকারের দুঃসংবাদ আসে
একটা সন্ধ্যা ধুঁকছে ওপাশে
এক হঠাৎ বিষাদপাশে
আর গল্পটা এলোমেলো..
সম্পূর্ণ এলোমেলো.........।

জীবনের ইতিকথা। সত্যই জীবনটা এমনই। জীবন নদী কখনো স্নিগ্ধ শান্ত কখনো বা ঘন বিষাদ আচ্ছাদিত। জোড়া লাগে আবার ভাঙে।

একসাথে থাকলে প্রতিনিয়ত চলে খুঁটাখুঁটি আবার তারি মাঝে বয়ে চলে প্রেমের সে ফল্গুধারা।

তবে পরিস্থিতি কখনো কখনো এরূপ হয় ইচ্ছে না হলেও ভেঙে দিতে লাগে সে বন্ধন , সে সেতু যা রচিত হয়েছিল অনেক ঠুকাঠুকির পর। বিষাদ ছায় অন্তর।

তবে যারা স্থিতধী তাদের কিছুই হয় না এমন ঘটনা প্রতি ঘটনাতে। জীবন্মৃত তারা শুধুমাত্র জ্ঞানের আকর বলে। সুখ দুঃখ হয় তাদের পায়ের ভৃত্য। অনুচ্চারিত শব্দে প্রিয় কবি অনুপম সুন্দর ভাবে সে কথা ব্যক্ত করেছেন কবিতায়। কিছু বেদনার সুর যেন কবিতার শেষ কটি পংক্তিতে।

অসামান্য এমন লেখার জন্য প্রিয় কবির জন্য রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন আর অনেক অনেক শুভকামনা।

পরিস্থিতি কখনো কখনো হাতের মুঠোয় থাকে না তা সে যতই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হোক না কেন!