পাখির বিয়ে। পাখি বলতে পাশের বাড়ির ছোট্ট মেয়েটি যার কিনা আজ সত্যি সত্যি বিয়ের বাসর। পাশের বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে ছোট্ট বেলা থেকেই তিনি মেয়েটিকে দেখে এসেছেন। মেয়েটির মুক্ত বিহঙ্গের মত বেড়ে ওঠা তিনি সময়ের সাথে সাথে অনুভব করেছেন। তার খেলাধূলা আচার আচরণ সমস্ত টাই তিনি দেখেছেন।
সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছে, আজ তার সত্যিকারের বিয়ে। কবি তাই স্মৃতিচারণের দেশে আজ বিচরণ করছেন। সেই যে সময় সেই ছোট মেয়েটি পুতুল পুতুল খেলা করতো, নকল বউ সেজে চিচিঙ্গা ফুলের নোলক নাকে পড়ে আর বৈঁচি ফুলের মালা গলায় পড়ে নকল বউ সেজে উল্লাসে মেতে উঠতো, সে সব তার স্মৃতি গোচর হচ্ছে আজ।
আজ কিন্তু সত্যিকারের বিয়ের দিনে আজ তার অশ্রুসজল আঁখি, লজ্জায় ঘোমটা টানা তার মুখ। আজ তাকে নিজের সকল বিসর্জন দিয়ে তাকে অন্য এক নতুন পুরুষের হাত ধরে অন্য এক ভিন্ন পরিবেশে এক বুক আশঙ্কা নিয়ে তাকে তার শ্বশুরবাড়ি চলে যেতে হবে।
বিবাহ পরবর্তী পর্বে নিজ পিতার গৃহ হতে শ্বশুরবাড়ি চলে যাবার পাক মুহূর্তে এই কান্নার রোল কে দেখেনি বলতে পারেন। দারুন করুণ হয় সেই মুহূর্ত।
ব্যক্তিগত জীবনে চোখের সামনে ভুমিষ্ট হওয়া থেকে বড় হওয়া অবধি অনেক কাছের প্রিয় জনেরই বিয়ের সেই প্রাক বিদায় মুহূর্ত নিজ চোখে অনুধাবন করেছি তাই কবিতাটি পাঠ করতে করতে সে সব মুহূর্তের কথা স্মরণে এসে গেছিল আর চোখের কোনে চিকচিক করে ওঠে অশ্রুর বান।
ভীষণ সুন্দর ভাবে কবি তার লেখা কবিতায় সে সব দৃশ্যপট অঙ্কন করতে সক্ষম হয়েছেন। অকপটে বলতে পারি লেখাটি সফল লেখনীর একটি।
এমন সুন্দর লেখা উপহার দেবার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল প্রিয় কবির প্রতি।