তাহলে বুঝে দেখুন মানুষ যেভাবে নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে প্রাণবায়ু সরবরাহের প্রধান উপাদানটিকে ধ্বংস করে ফেলছে তা কতখানি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে প্রাণ জীবন আর বাস্তুতন্ত্রে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাবার কারণে এই পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস সৌরতাপ কে তো বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করতে দেয় তবে বের হতে দেয় না অর্থাৎ তাপ শোষণ করে রাখে আর এ কারণে বাতাসে যত বেশি পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের আধিক্য থাকবে পৃথিবী ততই উষ্ণ হয়ে উঠবে। এই প্রক্রিয়াটিকে গ্রীন হাউজ এফেক্ট বলা হয়ে থাকে। এভাবেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

উষ্ণ হতে হতে আজ পৃথিবীর গড় উষ্ণতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে পৃথিবীর দুই মেরুতে জমে থাকা বরফ আজ গলতে শুরু করেছে। আইসবার্গ বা হিমশৈল যে হারে গলছে তাতে অবিরত বেড়ে চলেছে সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা। ঘন ঘন সুনামী আছড়ে পড়ছে স্থলভূমিতে।  আগামী ৩০-৪০ বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আর মাত্র কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলেই সমুদ্রের জলস্থর এতটাই উচ্চ হয়ে পড়বে যে সমুদ্র নিকটবর্তী সমস্ত শহর সম্পূর্ণভাবে জলে নিমজ্জিত হতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, বরফ গললের ফলে আন্টার্টিকা অঞ্চলে বরফের নিচে যে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস সঞ্চিত হয়ে আছে তা মুক্ত হয়ে বাতাসে মিশে যাচ্ছে ও উষ্ণায়নের গতি আরও বৃদ্ধি করে চলেছে। পরিস্থিতি আজ বিজ্ঞানীদের ও হাতের বাহিরে চলে গিয়েছে। ধ্বংস অনিবার্য।

কবি আক্ষেপ করে বলেছেনঃ

"ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে
আসে যদি ঝড়! দুমড়ে যাবে জনপদ"

"সুনামী হয় যদি, শহর-নগর হবে হ্রদ"

লেখাটি ছোট তবে এ্তটুকুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর আসন্ন বিপদের অশনী সংকেত। কবিতাটি সত্যই আলোচনার দাবি রাখে। সুন্দর একটি ট্রায়োলেট উপহা্র দেবার জন্য লেখক কবির জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।