লেখাটি প্রকৃতিকে নিয়ে লেখা। দারুন সুন্দর তবে কবি হয়তো বা নিজেও জানেন না যে কতটা গভীর হতে পারে এ কবিতার মর্ম। চেষ্টা করছি এখনই আলোচনা করতে লেখাটি, পারবো কী না জানি না তবে ইচ্ছে যখন মনে জেগেছে চেষ্টা করে দেখাই যেতে পারে।
প্রথমেই কবি আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন,
"ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে!
আসে যদি ঝড়! দুমড়ে যাবে জনপদ"
লক্ষ্যণীয় যে কবি দুমড়ে যাবে আমাদের গ্রাম বা শহর লিখেন নি, তিনি লিখেছেন জনপদ অর্থাৎ মানুষ যেখানে বসবাস করে অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীকেই ভাবতে এতটুকু কষ্ট হয় না বা প্রশ্ন তুলবার ক্ষমতা নেই কারোর। জনপদ বলতে কবি এখানে এ পৃথিবীর সমগ্র জনপদকেই বুঝিয়েছেন আর কালো মেঘ-
এখানে বিস্তারে আলোচনা করবার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছেঃ-
মানুষের অপরিনামদর্শী কর্মকান্ডের ফলস্বরূপ পৃথিবী আজ ধ্বংসের কাঙারে উপনীত। আলোচনায় স্বল্প কথায় তা পাঠ করলেও যে কোন মানুষের হৃদপিন্ডে কাঁপন ধরাতে বাধ্য। অল্প কথায় তা লিখবার প্রয়াস করছি। এক দুই তিন করে লিখলেই হয়তো অল্প কথায় বলা যাবে। সেটাই করছি।
১। শহর নগর সম্প্রসারিত করতে যে পরিমাণে গাছপালা অরণ্য দীর্ঘকাল ধরে ধ্বংস করে চলেছে মানবকূল তাতে এ পৃথিবীতে জল স্থল আর অন্তরিক্ষের বাস্তুতন্ত্র প্রায় ধ্বংসের মুখে।
২। কলকারখানার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস, কার্বন মনোক্সাইড, ক্লোরিন আর ক্লোরোফ্লুরো কার্বন এর দাপটে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে আবহমন্ডল আর পরিণামে ক্যান্সার সহ নানান জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ক্লোরিন আর ক্লোরোফ্লুরো কার্বন গ্যাস আকাশের উপরিমন্ডলে ওজোন স্তর যা পৃথিবীর মানুষ জনকে সূর্য থেকে নিঃসৃত আল্ট্রাভালোয়েট রে থেকে রক্ষা করে থাকে সে স্তর কে ক্ষয়িত /ছেদ করে চলেছে অবিরত।
৩। নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস আর কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে বাতাস আজ বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। মাত্রাধিক কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস গ্রীন হাউজ এফেক্টের মাধ্যমে এ পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করে চলেছে আর তার ফলস্বরুপ... (চলবে)
আর্জেন্ট কাজ আছে কাল আবার চেষ্টা করবো লেখাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার।