প্রাক ঐতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে অনেক ভাঙা গড়া উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে আজকের আধুনিক মানব সভ্যতা। মধ্যযুগে বিভিন্ন রাজ রাজাদের আমলে একনায়ক তন্ত্রে মানুষকে অনেক নিপীড়ন অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে কালের পরে কাল। এসময় মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে জর্জরিত ছিল জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে অন্ধকারে ছিল। এসময় গ্যালিলিও গ্যালিলি সহ অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
সেটি ছিল ইতিহাসের এক অন্ধকারময় যুগ।
তাই বলে কী সভ্যতার অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল? শিল্প সাহিত্যের গতি কী স্থবির হয়ে গিয়েছিল সে সময়? শান্তি সততাও কী দুর্লভ হয়ে পড়েছিল?
না, তা কখনই হতে পারেনি। পাশবিকতার জাতাকল মানব সভ্যতার অগ্রগতিকে কখনই রুদ্ধ করতে সক্ষম হতে পারেনি। বরঞ্চ এসময়ই জ্ঞান বিজ্ঞান, শিক্ষা-সংস্কৃতি, সভ্যতা ভব্যতার মহীয়ান উন্নতি ঘটেছিল।
যুগে যুগে কালে কালে বহু বহু ঘাত অভিঘাত মানব সভ্যতার অগ্রগতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেও মানুষ সমবেত সঙ্গবদ্ধভাবে বুদ্ধি কৌশলে সে সকলই অতিক্রম করে আজ এই চরম উৎকর্ষিত আধুনিক যুগে উপনীত।
আজ সমাজের এই হালচিত্র অবলোকন করে কবি তাই ব্যথিত কন্ঠে উচ্চারণ করেছেন-
মানুষ কি ভুলতে বসেছে তবে বাঁচার লড়াইয়ের যুথবদ্ধ ইতিহাস (চলবে)