স্বার্থপরতা হানাহানি খুন জখম রাহাজানি আজকের দিনে ক্রমাগতই সংগঠিত হয়ে চলেছে। সমাজের সমস্ত কোণায় দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে সরকারি বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠান ই আজ দুর্নীতির গ্রাস কবলে। মেধা আর শ্রম ক্রমে ক্রমে মূল্যহীন হয়ে চলেছে। আধুনা ঘটে যাওয়া টেট কেলেঙ্কারি তার মস্ত বড় উদাহরণ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। মানবিকতা নামক বস্তুটা আজ যেন অচল সিক্কা ছাড়া আর কিছুই নয়।
মা বোনেদের সম্ভ্রম আজকাল হর হামেশাই রাস্তা ঘাট বাস ট্রেন মাঠ ময়দানে লুণ্ঠিত হয়। পাশবিক অত্যাচার করে গণধর্ষণ ও তৎপশ্চাৎ নির্মম ভাবে খুন করবার মত ঘটনা মাঝে মধ্যেই কোথাও না কোথাও সংঘটিত হয়ে থাকে। শিশু কচিরাও বাদ নেই। ফুলের মত কোমলমতি শিশুর শ্লীলতা হানির ঘটনাও আজ অহরহ ঘটে চলেছে সমাজে।অন্তরঙ্গতা মেকি ভাব ভালোবাসার ছোবলে মাঝে মধ্যেই আত্মঘাতী হয় যুবতী। বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস প্রায়ই দিনে সংবাদপত্রে ধরা পড়ে। ক্ষোভ মিশ্রিত কণ্ঠে কবি লিখেছেন-
আজ যাকে দেখে মনে হয় উচ্ছল তরঙ্গ, কাল দেখি তার ঝুলন্ত দেহ
অবৈধ কারবার আর ভ্রষ্টাচার সমাজের মানুষ জনকে শোষক আর শোষিত এই দুই শ্রেণী তে বিভেদিত করে তুলেছে। এক শ্রেণীর জনগণ সমাজকে শোষণ করে অগাধ বিত্তবান আর এক শ্রেণী বলতে গেলে কাঙাল। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজমান। সরকারী দপ্তরে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটে চলে মাঝে মধ্যেই। বিচারের নামে প্রহশণ ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয় না। ছল আর প্রতারকে ভরে গেছে বাস্তব আর ভার্চুয়াল জগৎ। লাগামছাড়া দুর্নীতের কবলে আক্রান্ত সমাজ ব্যাবস্থা আজ রুগ্ন আর ক্লিষ্ট। এসবের প্রতিকার করবে কে!!
সর্ষের ভেতরই ভূতের আস্তানা যে। সাধারণ জনগণ অসহায় দর্শক ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বপ্নের ঢল নিয়ে মেয়াদ অতিক্রমে অনেক আশায় বুক বেঁধে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে তারা। কিন্তু ওই যে লঙ্কায় যে যায় সেই রাবণ হয়ে ওঠে। ক্ষমতালোভী জননেতা ক্ষমতা হাতে পেয়েই বিভিন্ন দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে ওঠেন নিজের নিজের আখের গোছাত ব্যস্ত রন।সাধারণ জনগণ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের অবস্থানেই থেকে যায়। হাহাকার করা ছাড়া তাদের কিছুই আর করার থাকে না। এই হলো আজ সমাজ ব্যবস্থার হাল। এভাবে চলতে থাকলে সমাজব্যবস্থা একদিন ভেঙে পড়তে বাধ্য। তাই কবি লিখেছেন-
তিল তিল করে ভাঙছে গাঁথুনি সমাজের, একি প্রলয়ের পূর্বাভাস (চলবে)