প্রিয় কবি মোঃ মামুন হোসেন মহাশয়ের প্রকাশিত কবিতা, "মুখের কথা"

যদি মুখে বলি কথা,
সকলে পায় ব্যাথা।
মুখে আর বলিতে নাহি চাই  
লেখার দ্বারা যদি বুঝাতে পাই,
খুখে আর বলিবে না ভাই।
সহজ সরল কথা
গরলে পরিনত হয় অযথা।
কেউবা কথার ফুলঝুড়ি
কেউবা কথায় কথায় ভুল করি।
কেউবা কথা দ্বারা জয় করে অসাধ্য সাধন
কেউবা সঠিক কথা বলতে না পারায় হয় মদন।
কেউবা কথায় কথায় হাসি হাসি পায়
কেউবা বেশি কথা বলে ফেসে যায়।
মেপে কথা বলা কঠিন ভাই
আবার চেপে কথা সমচিন নয়।
যেটা বলার জন্য কথা, বোঝে না সেটা
উল্টে যায় মুখের কথা, বাড়ে তীব্রতা।
তাই যে কথায় গ্লানি আনে
বন্ধ তাই মুখগহ্বর,
চলবে লেখার দ্বারা।

কথা বলা একটা আর্ট। কথার অনেক রকম ফের রয়েছে। কমপ্লিমেন্টারি টকিং, কনট্রাডিকটারি টকিং এবং নন ভার্বাল টকিং। কমপ্লিমেন্টারি ও কমপ্লিমেন্টারি নন ভার্বাল টকিং এ দুনিয়া জয় করা যায় যেখানে কনট্রাডিকটারি টকিং কোন সময় কোন কাজেই ফলপ্রসু হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই বৈরিতা ডেকে আনে। বর্ত্তমানে দুনিয়াতে নব্বই পারসেন্ট এর বেশি লোক কনট্রাডিকটারি টকিং নিয়ে চলে তাই তো আজ দুনিয়া এত অস্থির। চৌদিকে যুদ্ধের দামামা। সে আপনি মুখেই বলুন বা লিখেই বলুন। কন্ট্রাডিকটারি কথাবার্তা হলে ঐ একই ব্যাপার হবে।

যাই হোক কমপ্লিমেন্টারি টকিং বা কথাবার্ত্তা কেমন হয়। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বোঝা খুব সহজ হবে। জুতার বাক্স দেখেছেন।দুটো জুতো উল্টা করে এমন ভাবে বসানো থাকে যে খাপে খাপে বসে যায়। বাক্সটা আটকানো যায়। এভাবে ছাড়া আর কোন এরেঞ্জমেন্টেই জুতার বাক্সে জুতা সেট করা বা দুটো জুতো ঢুকানো যাবে না।  কমপ্লিমেন্টারি টকিং হলো জুতার বাক্সে জুতো রাখার মতনই ব্যাপার। মানে একটা কথা আর একটা কথার পরিপূরক। খাপে খাপে সেট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কথা বলতে পারলে সখ্যতা বাড়ে , ব্যাবসা ভালো হয়, জীবনে উন্নতির সোপান বেয়ে অনেক ওপরে ওঠা যায়। নচেৎ আমরা যেটা ইয়ার্কি করে বলি, "ফুটুর ডুম"।

কনট্রাডিকটারি টকিং একে অপরের বিপরীত। কোনোও ভাবেই একে অপরের পরিপূরক হতে পারে না। উনি ডাইনে তো আপনি বামে। উনি আকাশে তো আপনি পাতালে। বৈরিতা ছাড়া আর কি আশা করতে পারেন। একটা ছোট্ট উদাহরণ দি। সবক্ষেত্রে না হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উদাহরণটা মানানসই হয়। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে , বউমা ও শাশুমার মধ্যে বেশির ভাগ সময়েই এই কনট্রাডিকটারি টকিং চলতে থাকে। তার পরিনাম তো জানেনই, "ঘর ঘর কা কাহিনী"।

একটা নন ভার্বাল কনট্রাডিকটারি টকিং এর উদাহরণ দি, ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। কোনও মহিলা হাই হিলে চলছিল। জুতো কাত হয়ে পা মচকে হটাৎ রাস্তায় পরে গেল। আপনি এমন ভাবে একটা মুচকি স্মাইল দিলেন যেন বোঝাতে চাইলেন, "কেমন মজা বাছাধন" যেন হাই হিলের জন্য উপহাস। সেই মহিলা সেটা যদি দেখতে পায়, মনের মত একটা গালি ছাড়া আর কী তার থেকে আশা করতে পারেন।

এখানেই নন ভার্বাল কমপ্লিমেন্টারি টকিং কিন্ত আপনি করতে পারতেন, তার হাত থেকে যে ব্যাগটা ছিটকে পরে গিয়েছিল তা যদি দৌড়ে গিয়ে তুলে দিয়ে হেল্প করতে উদ্যত হতেন তাহলে হয়তো তিনি অনেক খুশি হতেন। আশাকরি কথা কি ভাবে চালাতে হয় বুঝাতে পারলাম। এভাবে কথা বলবার অভ্যেস করুন দেখবেন দুনিয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। যাই হোক অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেললাম। অপরাধ হলে মাফ করবেন। আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।

কবিতায় খুব সুন্দর ব্যাপার অবতারণা করবার জন্য প্রিয় কবিকে জানাই আমার হার্দিক অভিনন্দন।