"মানুষরূপী পশু" কবি রেজাউল রেজা

মানুষ নামের কিছু পশু  
রয়েছে তো সবখানে,
সেই পশুরাই ক্ষণে ক্ষণে
মানবতায় আঘাত হানে।
তাই বলে কি শিক্ষাগুরুর
এমন হওয়া শোভা পায়!
জাতি যে ভাই তাদের কাছে
অনেক ভালো কিছু চায়।
শিক্ষকরাই শিক্ষাগুরু
এটাই সবাই জানি,
তবে কেন তাদের দ্বারা
ছাত্রীর শ্লীলতাহানি।
রক্ষক যদি ভক্ষক হয়
জাতি কোথায় যাবে!
কার কাছ ভরসার ছায়া
খুঁজে তারা পাবে?
কুলাঙ্গার ঐ শিক্ষকদের
ধিক্কার জানাই আজ
আর কখনো করেনা যেন
এমন ঘৃণ্য কাজ।

প্রিয় কবি রেজাউল রেজা (নীরব কবি) এক বেদনার ছবি এঁকেছেন ঘূন ধরা সমাজের। যে শিক্ষকেরা সমাজ সংস্কারক, কচি শিশুমনে অবাধ যাদের বিচরণ, শ্রদ্ধাতে সদা অবনত শির, সেই শিক্ষকরা আজ কালিমালিপ্ত।

বাব মা'য়ের কথা শিশুরা যতটা না মানে, ঠিক ততটাই মানে শিক্ষকদের কথা। বিশ্বাস ভক্তি এখানে অটল। ভাবতে অবাক লাগে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন শিক্ষক কিভাবে এধরনের আচরণে লিপ্ত হতে পারে।

হায় রে সমাজ! আধুনিকতা কোথায় নিয়ে গেছে আজ সমাজকে। গুরুদেব ব্যাবসার কাহিনীও আমরা জানি। কাম আর রতি-এদের বাসনা আর উপাসনা। এখন তো আকছার এমন সব রক্ত গরম করা চিত্র চোখে পরে।

অপদার্থ কিছু অসৎ ঘুষখোর ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োজিত করেন কিছু অপদার্থ লোক শিক্ষক হিসাবে। আর এভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রে ঢুকে যাচ্ছে কিছু অসৎ চরিত্রের দানবের দল। যাদের সার্টিফিকেট টাও অনেক সময় জাল জালিয়াতিতে ভরা।

উষ্মা চেপে রাখা যায় না এসব ব্যাপার খবরে এলে। মানুষ আজ মানুষ নেই। প্রিয় কবি সে চিত্র কবিতায় অপূর্ব সুন্দর ভাবে এঁকেছেন। ভ্রষ্টাচারের চরম পরিনতি।

চলুন আজ হাতে হাত ধরি ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করি। দিতে হলে জান মুষ্টিতে রেখে এগিয়ে যাব সেই রাহা।

অসাধারণ লেখাটির জন্য প্রিয় কবিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। কিছু লেখবার ইচ্ছে রইল এব্যাপারে।

"কাঙালি"

মা'গো মা ও মামনী-কোথায় পাঠা-লি,
শিক্ষক তো নয় রে মাতে
হৃদয় কাঙালি।
বই ছেড়ে মা, ও'মা রে-আমায় ছুঁতে চায়,
দৃষ্টি সে তার প্রখর যেন
আমার শরীরটায়।
ও,মা কোথায় দিলি বল, ও'মা কোথায় দিলি বল।
জাপটে ধরে কথার ছলে-আদর করে মা,
ভাবখানি তার ছল ছলনার
ভয় করে শোন মা।
আর যাবনা সেথায় মা'গো-ভক্তিতে তুই র'লি,
শিক্ষক তার সম্মানেতে-হৃদ সে
বুঝালি।
আজ কাঙালি কাঁদতে রে মা তারই ছলনাতে,
সইতে নারি আর না রব
ভবের দুনিয়াতে।
আর মা তুই শাস্তি দিবি-ছাড়বি নে রে মা,
শিক্ষক তার সমাজ দূষণ
করবি নে মা
ক্ষমা।  (২/২১ রাত)