কবির লেখাটি এইরূপঃ-
তোমার ঐ দুর্বোধ্যতা আমাকে
আকর্ষক করেনা মোটেই।
আমি অবাক হয়ে ভাবি
তুমি বঙ্কিম বাবুর কাছ থেকে
কিছু শব্দ ধার, না না ধার বলা
যাবে কেনো বলো, তুমি তো সে যুগের নও!
বরং চুরি বলাই সঙ্গত। হ্যাঁ চুরি।
কিছু কঠিন শব্দ জোড়া দিয়ে
কবিতার আসর মাতিয়ে নিলে।
লোকে বাহবা দিচ্ছে বারবার।
আমি আদিঅন্তঃ কয়েক বার পড়েছি।
কিন্তু পাঠোদ্ধার করতে পারলাম না।
বিশেষজ্ঞের আমি শরনাপন্ন।
ওরাও বোকা আমার মতোই।
আমরা চালাক হলাম না আজও।
তুমিকি বুঝবে আজ থেকে অনেক
বছর পর তোমার কবিতার মানে।
আমার তো সন্দেহ হয় এই ব্যাপারে।
তখন না হয় কাউকে ডেকে নিও।
এ লেখাটি লিখেছেন প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়া। নির্মম কাহিনী হলেও সত্য, কিছু কিছু কবি নির্মমভাবে আনাপ সানাপ ভাব বিন্যাসে কিছু কঠিন দাঁতভাঙা শব্দের সম্মিলনে ছন্নছাড়া কিছু খাড়া করেন আর কবিতা বলে চালাতে চেষ্টা করেন। উঁহু! আমি নয় , তার উপলব্ধি।
কবিতা হার্দিক প্রকাশ আর তা প্রকাশ করা হয় আর দশজনা আম লোকের বিনোদনের তরে। সে লেখায় থাকে হার্দিক প্রকাশ। মনের ছন্দ আর সহজ সরল ব্যাখ্যান।
কবি লেখাটি বার বার পাঠ করেছেন কিন্তু মানে উপলবব্ধি করতে পারেন নাই। তিনি যথেষ্ট শিক্ষিত আর একজন শিক্ষাবিদ। তিনি বার বার পাঠ করে যদি একটি কবিতার মানে বুঝতে সক্ষম না হন তবে , সাধারণ জনসাধারণের জন্য সে লেখা বাতুলতা ছাড়া আর কী হতে পারে।
কবি সংশয় প্রকাশ করেছেন সে লেখার মানে লেখক কবি আদৌ জানেন কী'না!
কবি আরও সংশয় প্রকাশ করেছেন কবিদের এমন অস্থিরতা আর আত্ম অহমিকা কবিতাকে ধ্বংস না করে দেয়।
বাস্তবতার নিরিখে সময়োপযোগী এমন একটি কবিতা উপহার দেবার জন্য লেখক কবির জন্য রইল আন্তরিক উষ্ণ অভিনন্দন।