আমি মুক্তমনা বলছি,
আমি মুক্তির কথা বলছি,
মাতৃজরায়ুর ভিতরে থাকতেই জেনে গেছি ,
পাশবিকতা কি?
পৃথিবীতে নেমেই দেখেছি ঝাঁঝালো দরপত্র,
এনকাউন্টার, ক্রসফায়ার।
সুখের দিনে আমার মায়ের বিবর্ণ শাড়ীর আঁচল,
ভরে উঠেছিল রক্তিম ফোয়ারায়।
আমার মায়ের গর্ভফুলে বয়ে গেছে বুলেটের ঝড়,
আঘাতে আঘাতে ভেঙে চুরে খান্খান্ মাতৃজটর।
এখানে কি কোনদিন চাঁদের আলোয় পূর্ণিমা ছিল?
কামশাস্ত্রের পুঁথি পাঠিয়েছিল সে কোন ঈশ্বর?
অপরিচিত রক্তাক্ত স্রোত ধারায়,
ছেঁড়া কাঁথায় জড়ানো মুক্তশিশু আমি,
আমার চিৎকারে ক্ষেপে উঠে আসমান,
কে দেবে আমায় নিবাস?
ভণ্ড ঈশ্বর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে।
আমি কোথায় যাই?
আমার কিসের ঠাঁই?
মায়ের বুকেতে এক ফোঁটা দুধ নেই,
উৎকন্ঠার সময় গুলো গ্রাস করে,
আমার চৌদিকে উৎসুক করে শাসকের ত্রিনয়ন,
কেন আমি-রা জন্ম নেয়?
আমি-রাই তাদের বাধা, তাদের অভিশাপ,
আমাকে যমেরা এসে নিয়ে যাক।
এই আমি,
নতুন মডেলের অস্ত্রে বিদ্ধ হবো!
শান দেওয়া রামদায় নত হবো!
আমি মুক্তমনা বলছি,
আমি মুক্তির কথা বলছি,
অনেক রক্ত দিয়েছি আমরা, আর কত চাও?
জীবন নিয়ে নাও, তবুও মানবতার মুক্তি দাও।