তোমার একটা চিঠি এলো,
দক্ষিণের হাওয়া, সবুজে ফাল্গুনের গন্ধ,
সবকিছু এলোমেলো করেই
কালো-নীল জলে ভেজা একটা চিঠি এলো।
নিগৃহীত কচি কৈশোরের সময় পেরিয়ে,
জাগ্রত রাত্রির স্তব্ধ প্রিয় অন্ধকারে,
শেষ বিকেলের কাছে গোধূলি জমা রেখে,
মেঘনার ঘূর্ণি-ঘোলার মত হরিণখেলায় বেলা গড়িয়ে
তারপর, একটা চিঠি এলো।
তোমার চিঠি দু’চোখের বৃষ্টি দেখে, দেহের তৃষ্ণা দেখে
ছিন্ন পোশাকের শপথ দেখে, জলে ভাসা আগুন দেখে,
বুক পকেটের কবিতা দেখে, মগ্নচোখে প্রজাপতি দেখে।
না বলা কিছু কথা, কিছু ব্যথা, কিছু স্মৃতি নিয়ে
কে যেন ডাকে সেই শব্দহীন চিঠির ভিতর,
নিরুত্তর হয়ে আসে জেগে ওঠা মেঘ রমনী।
নিষিদ্ধ অদৃশ্য কাব্যের নিরন্তর অসমাপ্ত পদাবলি নিয়ে,
তোমার চিঠি এলো।
তোমার চিঠি এলো, কেন এলো? এতদিন পর!
মানচিত্রে আজ আমার ঠিকানা নেই,
একটাই পৃথিবীর অনন্ত আকাশে মনখারাপের গন্ধ আজ,
স্মৃতির পানসিতে ভর করে, আমিও দায়বদ্ধ তোমার অভিমানে,
সমস্ত সাজ আড়াল করে রাত্রি নামছে দু'চোখে,
অদেখা কান্নায় ভেসে যাচ্ছে এক-দু’ফোটা আলো,
সেই আলোয় তোমার চিঠি এলোই যখন,
থাকুক বদ্ধ খামে, কি হবে পড়ে।