হে উপলব্ধি,
তুমি মায়ার সেই জাগ্রত স্পর্শ
যাকে অনুভব করা যায়
কিন্তু দেখা যায়না
শিরহিত হওয়া যায়
কিন্তু বিমূঢ় হতে হয়না।
বিশাল বনস্পতির অতল ছায়ায় বোঝা যায়
কিন্তু ধরা যায়না।
নিয়ামক ঝড়ের অতল বোঝায় বিস্মৃত হওয়া যায়
কিন্তু সাবধানতা পরখ করতে হয়না।
তুমি সেই রূপের আড়ালে ঢাকা অরূপের হাঁসি
যাকে স্মরণ করা যায় কিন্তু অবহেলা করা যায়না।
প্রাণের জাগরণে ভোরের উঠোনে,
দিবার পদার্পনের সেই সুরেলা জাগরণ-
যাকে সংযম করা যায়
কিন্তু প্রতিরূপ স্থিতি করা যায়না।
সংসারের জালে ঘেরা রূপকের অনুভূতি
বিভোর হওয়া যায়
কিন্তু নেশা কাটানো যায়না।
সুখের কী যে সেই উপলব্ধি,
স্বজন হারানোর শোকে মূর্ছিত হওয়া যায়
দুঃখের সাগরে নাউ ভাসিয়ে তাকে ভুলানো যায়না।
তাঁতির ঘরে তাঁত বুনার পরশ হওয়া যায়
আবার কুমোরবাড়িতে পাত্র হবার মনন হওয়া যায়।
উপলব্ধির সেই অবাধ খেল,
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ যাদের
আবেগঘন হতে দেয়
কিন্তু দুগাল কষ্টের মোড়কে
আলতো হাসতে সাধতে দেয়না।
দুমুঠো অন্নের জোগানে সেই কৃষক ভাইদের হাসি
দুঃস্বপ্নর সেই গভীর সাগরে ভিক্ষুকের পাশাপাশি।
উপলব্ধির কী অপার লীলা,
প্রেমের সেই চিঠি দেখে দুর্নিবার জাগাতে পারে
কিন্তু বিরহের সেই কথা শুনে ঘুমোতে দিতে পারেনা।
উপলব্ধির কী যে রূপ,
দেশের জয়গানে মোদের-
মিলনের দরিয়ায় ডোবাতে পারে
আবার অনাবশ্যক কোন ক্ষণে
একত্রিত হতে বাঁধা দেয় না।
উপলব্ধির একটি অবাধ কথা,
তাকে সম্বল করে শয্যা যখন হাসে
আবার তাকেই কেন ভরসা করে নিবিড় মন কাঁদে।