জীবন জড়িয়ে
     আশা ভরিয়ে
মোর অন্তরকে করলে বিচলিত
মোর পরানের অমর সাথী।
পরান যেন ডাকলেই বলে
না! না! না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

কে হবে মোর আপন
   যন্ত্রণায় অন্তর ফাটছে যখন
আমায় একটু হলেও
সোহাগ দিতে পারতে।
জীবনের সবগুলি পাতা যেন-
হয়ে গেছে বিরহের অগ্নিশিখায় দগ্ধ।
পাতাগুলি গুছোতে চাইলেও বলে-
না! না! না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

তোমার সোহাগ পাবার এই যে আশা
    ছড়িয়ে পরেছে মোর মজ্জায় মজ্জায়।
মোর অন্তরের ডাক যেন নিভৃতে রয়েছে।
কখন যে পাব সাড়া তার উপায় নেই।
সাড়া পেতে চাইলে বলে
না! না! না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

শুধু আঁখি দিয়ে এখন অশ্রু ঝরে।
    মোর জীবনের অধ্যায়কে করে নিমজ্জিত
জীবনের বীণার সেই সুরগুলি এখন রাত ভরায় না।
তোমার প্রহর এখন দিন যেন আর ফুরায় না।
দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে তুমি রয়েছ
না!না!না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

মিলনের সাগরে ভাসাবো নিজেকে।
তোমারই সেই সোহাগে মোর জীবনকে করব সমর্পণ।
যতই বলি বা না বলি
   কিন্তু তোমার উত্তর যে একই
কেন যে এত দূর হয়ে গেলে।
উত্তর পেতে চাইলে বলে
না! না! না!
তোমার কী সোহাগ আমি আর পাব না।

আমি বাড়ি থেকে বেরোতে বেরোতেই
    তোমার সেই ছায়া সঙ্গী হয়ে থাকে যেন
তোমার সেই ছায়ার স্পর্শ যেন আঁখি ফেরায় না
আঁখি ফেরালেই যেন বলে
না!না!না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

নিয়তিও যে হার মেনে নিয়েছে
     তোমার সেই না বলা ডাকে
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাসে
বুজেছে মোর জীবনের অজানা বাতি
তোমার সেই সুর বাজলেই যেন বলে-
না! না! না!
তুমি যে আর ফিরবে না।

তোমাকে করেনি আমি দূরে সরে
   তুমিই আমাকে করে দিয়েছ পর করে
তোমার সেই সোহাগ পাই বা না পাই
তোমার মনোরাজ্যে অমর হয়ে থাকতে চাই
শুধু একটাই কথা বলতে গেলে
না!না! না!
তোমাকে আর ফিরে পাব না।