আজ মনের এই প্রভাতে
দেখলাম নিজেকে নতুন করে
নতুন করে সাজাব ঘর
এই আশায় আমি প্রবিষ্ট
সময়ের প্রবাহে তুমি নেই ঘনিষ্ঠ
দিলাম তোমায় অঝোর ডাক
সুধাকমলের পাড় হয়ে
তুমি আর এলেনা।

আজও বসন্তের সেইসকালে
আমি রয়েছি নিঃস্ব হাতে
তুমি দিলেনা তোমার সারমর্ম
তোমার পানে অপেক্ষায় রয়েছি
তুমি আর এলেনা।

জানু পেতে বসেছি আজ
খোদার কাছে তোমার দোয়া
ভালো রাখবেন মহান আল্লাহ
তাঁহারই মাঝখানে
অনেক করেছি তোমার আসার কামনা
ফিরে পাবার বাসনা
কিন্তু তুমি আর এলেনা।

মনে পড়ে ঈদের মরশুমে তোমার রোজা
আমার প্রতীক্ষায় চেয়ে রয়ে
পালন করেছো রসূলের বাণী
নতুন ঈদের চাঁদ উঠেছে
যা তোমার অভাবে এখন লাগছে সন্দিগ্ধ
তোমার অন্তরে এখন হারিয়ে যেতে চাই
কিন্তু তুমি আর এলেনা।

শরতেরই এই শোভাতে
মোর মলিন বদনে
ঝরে পড়ছে বিরহের অশ্রু
পড়ছিলাম শুধু তোমার কথা
শেষবারের মতো কবে হল দেখা
তোমার না দেখায় মোর চোখ ধাধিয়ে গেছে
তুমি আর এলেনা।

আমরা গিয়েছিলাম কত সেই পুষ্পদ্যানে
দিয়েছিলে কত আশাভরা স্মৃতি
পুষ্পরাজির কত যে বাহার
সৌরদহে রঙবেরঙের গাঁথা
যূথী মালতী গাইছিল সুর
যা এখন তোমার অভাবে লাগছে ফিকে
তোমার আলোতে আবার উদ্যান পাবে সৌরভ
কিন্তু তুমি আর এলেনা।

তোমার কেশে যেন কেতকী নাচে
কাজল ভরা সেই মৃদু আঁখি
তোমার মাথার সেই ক্ষুদ্র সিঁথি
কানের সেই অবাধ কুণ্ডল
করে তুলেছে তোমায় সপ্তপর্ণা।

তুমি যে এখন হয়ে রয়েছ
মর্মভেদী যন্ত্রণায় শয্যাশায়ী
চিঠির সেই আবেগের চড়া
অশ্রু ঝরছে মোর অঝোর ঝরা
এটাই বুঝি মোদের শেষ দেখা
তুমি আর এলেনা।

বিধিলেখার হলনা খন্ডন,
চলে গেলে তুমি মোহ ত্যাগ করে
এক দুঃসাহসী পদক্ষেপে
তোমার কবর রয়েছে মোর গৃহের কোনে
বাড়িয়ে তুলেছে নিঝুম ক্ষণ
মোর বাড়ির নীড়ের শান্তি
তোমার অধরা স্মৃতিতে আমি পাব কী শান্তি ?

কবরটি যেন আমার অমর আত্মা
নয় এটা পরবেশী  
ভরিয়ে দিই ফুলের বর্ষা প্রতিদিনকার,
আর পাবনা ফিরে তোমার ডাক
তুমি এখন রয়েছ তোমার লোকে
তোমার প্রহরে এখন শব্দহীন অশ্রু ঝড়াচ্ছি,
কারণ-
তুমি যে আর আসবেনা।