কোথায় যে হারিয়ে গেল আমার সেই সুরের খেলা,
জানিনা কবে ফিরে পাব, কোন পাবনে বসেছে মেলা।
পরাণ যেন নিভৃতে রয়েছে,
মনে তার জাগে ছোয়া।
হৃদয়ের সমীপে দাঁড়িয়ে বিস্ময়,
সর্বদা যেন কাঁদে সুরের আশা।
তরঙ্গের তীক্ষ্মতা সদা মনে জাগাত কৌতুহল,
এখন সুরের অভাবে সবকিছু লাগছে আবোলতাবোল।
সেতারের টান, হারমোনিয়ামের গান,
করেছিল মোর শৈশবকে সুমধুর।
নতুন রূপে-নতুন ছোয়ায় হৃদয় ভরে উঠত ভরপুর।
সুরেলা ছিল মোর বাল্যকাল;
সবকিছু ছিল স্বাভাবিক খিলখিলে।
এখন সুরের লালিত্যহীনতায় জীবনের তারগুলি হয়ে গেছে ঢিলে।
জীবন আর সুর সবই সময়ের স্রোতে ভাসমান যান,
একবার চলে গেলে ফিরে আসেনা তাদের মান।
সুরের খোজে হিয়া কাঁদে,
জীবন বড় জটিল।
সুরের তরঙ্গ সর্বদা কানে বাজে,
তার সান্নিধ্য পাওয়া মুশকিল।
শৈশবে সুরের গীত সর্বদা খেলা করত,
মোর জীবনের বেলা-অবেলায়।
এখন যেন সঙ্গীহীন হয়ে আছি মোর জীবনের কালবেলায়।
জীবনটা ছিল মধুময়;
সুরের আভাতে ঘেরা প্রহরে।
এখন জীবনের ছন্দের রূপ-
পুরো পাল্টে গেছে তোমার অভাবে।
সুরের ছন্দে-সুরের ছোয়ায় জগতটা ছিল সুধাময়।
দিন পাল্টেছে, সময়ের চাকা নতুন দিকে উদীয়মান,
কিন্তু তোমার অমর স্পর্শ-
মোর জীবনকে করে তুলেছে আবেগময়।