মানবদেহে চামড়ার নীচে বসে থাকা-
  এই সাতটি স্তর
সার্বজনীন সেই বিজ্ঞানী
    নাম তার আইভারসন।
দোটানায়, দ্বন্দে ছিল সে
   একদা তার মেয়ে মারা যায় আগুনে পুড়ে
হঠাৎ পড়ল নজর তার
    জনৈক লোক তুলছে স্তর
অজানা কিছু দিয়ে
      হল তার কৌতুহল।
চাইতে গিয়ে দেখতে পেল
এটা শিরীষ কাগজ।
সমস্ত উপায় জেনে বুঝে
      হকচকিত সে
কিভাবে তাকে ধন্যবাদ দেবে
      কিভাবে বলবে সে।
দেখল তার অপ্রতিদ্বন্দ্বী আবিষ্কার
      চোখের যত্নে গড়িয়ে।
সূচ দিয়ে সেলাই করে
     শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষে
হলকা হলকা এক যে স্তর
     আলাদা করল নিমিষে
মুখমণ্ডলের গঠন মুহুর্তে পাল্টে দিল
    অসামান্য কাজ সম্ভব করল যেটাতে।
পরের দিন সেখানে আসল
     অনেক খুঁজল সে
কিন্তু তাকে না পেয়েও
     হতাশ হলনা সে।
নিজের মেয়ের অতৃপ্ত চাওয়া-
     হল নাত পূরণ
কিন্তু শতশত লোকের এই কষ্টের ভার
     করল সে পূর্ণ।
ধন্য সেই অচেনা লোক
    যার হতে এসেছে আজ
আইভারসনের হাত ধরে
    ইতিহাস বদলানো আবিষ্কার।
পরম পূজনীয় সেই লোক
      পরিচয় তার অজানা
কিন্তু আইভারসনের অশেষ যত্নে সে পেয়েছে
      এক অমর ঠিকানা।