সেই কবেকার ঘটনা,
আমি একদিন বাবার সাথে বেড়াতে গেলাম হাটে।
দেখলাম সেই ফুলের চারাটি।
তুমি তোমার অজানা বন্ধুদের সাথে-
ছোট টিনের দস্তার উপর বসে রয়েছ।
তুমি তখন অনেক ছোট।
শুধু কয়েকটা পাতা আর শিরা ছাড়া আর কিছু নয়।
এই প্রথমবার তুমি তোমার-
বন্ধুদের হতে বিচ্ছেদ হয়েছো।
অজানা এক জগতে পা দিয়েছো।
কারণ আমি তোমাকে ক্রয় করেছি।
তুমি আমার পৃথিবীতে নব।
মেলেছো সবে চোখ।
তাই আমি আদর করে ঘরের কোণে-
করেছি তোমাকে বপন।
প্রতিদিন তোমাকে বারবার কিঞ্চিৎ জল সিঞ্চন করেছি তোমায়।
দিয়েছি সূর্যের স্পর্শ।
ধীরে ধীরে তুমি বড় হচ্ছ।
এই বাস্তবতার পৃথীবিতে শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছো।
তোমাকে আদর করে ডাকলাম সোনামুখী।
একদম সোনার চাঁদপারা মুখের মতো উজ্জ্বলতা তোমার।
আমিও তোমার সাথে বড় হচ্ছি।
দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর হল পার।
আমার বয়সের সাথী হয়ে হলে অপরাপর।
তুমি এখন অনেকটা হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে।
তুমি ফুল দিচ্ছ, ফল দিচ্ছ,
ভ্রমররা এস তোমার মধু খাচ্ছে।
পাখিরা করছে কিচিরমিচির।
তুমি সতেজ ও স্বাবলম্বী হয়েছো।
ভোরবেলা সূর্য উঠার সাথে সাথে-
তোমার পাপড়িগুলো যেন খিলখিলিয়ে ওঠে।
তোমার অনেক সঙ্গী হয়েছে
দিয়েছো ফুল, পেয়েছ ভ্রমরের সাঙ্গ।
তাই আমার আর আগমন তোমার কাছে সয় না।
নিজের ভাবের জগতে বিচরণ করছ তুমি।
আমার আসা এখন সোনামুখীর কাছে মুর্ঝা লাগে।
হ্যা,এখন আমার দেওয়া জলের আর দরকার নেই তোমার।
যাকে সাথী করে করেছি ছোট থেকে বড়।
সূর্যের ছায়ার মত কিঞ্চিৎ দূরে সরিয়ে দিলে আমাকে।
আজ সেই আমাকে কিঞ্চিৎ ভুলবার পথে-
অন্যকে নিয়ে পরো।
তাই কালকের যে ছোট্ট চারাটি আজ বড় হয়েছে
তার কাছে একটি প্রশ্ন মোর-
বৃহতের দলে সঙ্গী হয়ে মিলে গেলে তুমি।
কাল যে তোমাকে সাজিয়ে আজ বড় করল-
তাকে কিঞ্চিৎ প্রেম দিলেনা প্রেমী।