শহরের এক অচেনা মোড়ে,
ট্রামে চেপে আত্মীয়ের বাড়িতে
দুপুর গড়াল সবে।
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ শুনলাম,
সাইরেনের বিকট শব্দ।
পাশের এক কারখানা থেকে,
ধেয়ে আসছিল তীব্র বেগে।
চারিদিকে শুধু কোলাহল
কয়েক জন দৌড়ে গেল,
একজনের মুখে শুনলুম
সেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে।
কী তীব্র সেই শব্দ!
শব্দের তরঙ্গ কানে বার বার প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল।
কিছুক্ষণ পড়ে আসল দমকল।
আবারো সেই শব্দ।
তবে তা অন্য অনুভূতির
বুকফাটা সেই কর্কশ আওয়াজে-
বুকের প্রাণটাই বুঝি বেরিয়ে যায়।
শব্দই আর শব্দ,
চারিদিকে শুধু শব্দের ঢেউ।
আগন্তুক সেই শব্দে
স্বাক্ষী হয়ে থাকল,
সেই ক্ষণের আড়ম্বরপূর্ণ মুহুর্তটি।
এ শুধু সাধারন দিন নয়
বরং বিচ্ছিন্ন রূপে ভেসে আসা-
শব্দমর্মর বাণীর লহমা
কখনো বা কানফাটা সাইরেনের শব্দ
আবার কখনো বুক চৌচির দমকলের আওয়াজ।
তবে আমি বলতে পারি,
সেই দিনকার শব্দপ্রবাহ আমার জীবনে বসিয়েছিল,
শব্দধ্বনির আড়ম্বর মেলা।
যার রেশ এখনো আমার সেই রাস্তায়-
গলির সেই অচেনা মোড়ে
চলার পথে এখনো প্রতীয়মান।