আজ যে বিকলাঙ্গ শিশুটি আস্তাকুড়ে পড়ে রয়েছে
হাতটি বাকা,খর্বদেহ নিঃসঙ্গ
ব্যথিত হৃদয় - উৎপীড়িত।
  বলতে পারে না কিছু আর
শুধু ইশারায় করে আবদার
অন্য শিশুরা যেখানে শিশুমনে নিবিড় নিদ্রায় শায়িত
তাহলে সে কেন স্তূপের ঢিবিতে পড়ে নীরব ঝড়ে ক্রন্দিত ?
জঞ্জালের গাত্রে পড়ে রয়েছে তার সিক্ত সবুজ প্রাণ।
শকুনের দল ছিড়ে খাচ্ছে,
       তার শরীরের সেদ্ধ মাংসের থলি
কখনো বা নিয়ে যাচ্ছে কঙ্কালসার বাঁকা হারের টুকরো।
জঞ্জালের ভারে তার ছিন্ন দেহটি-
     যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
তবুও সে আশাবাদী
সে যেন মৃতপ্রায়,
  কিন্তু নয় মৃত
তার শুধু একটাই শেষ আশা,
কী দোষ ছিল ওর।
কোথায় তার সেই জড়াজীর্ণ পিতামাতা
ক্ষণিকের সুখের এই অবুঝ ফল,
   তাকে ভোগ করতে হচ্ছে।
কেন জঞ্জালের স্তূপে পোষ্যদের খাবার হতে হচ্ছে ?
সে কিন্তু তখনো হার মানেনি
চোখ বন্ধ করে অবচেতন মনে,
    সে তার মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
শিশু নামক শব্দটি এখন তাকে হতবাক করেছে
  সে নিজেকে শিশু বলে পরিচয় দেয় না
নিজেকে অদৃষ্টের পাপ বলে মনে করে।
কমলের ন্যায় কোমল পুষ্পের যারা ফুলের কলি,
  শিশুর অভিধান হয়ে করেছে দান
কিন্তু সে ওতো ফুলের কলি হতে চেয়েছিল
ফুলের ন্যায় নিজে সাজবে ভেবেছিল -
  বিকশিত হতে চেয়েছিল।
কিন্তু গুচ্ছের সেই ঝরা ফুল হয়ে-
   সে যেন দিল এর প্রতিদান।
পাপিষ্ঠ হে লালাসিত পিতামাতা,
  কঠোর হে ভাগ্যবিধাতা
তাহার কী করুন লীলা,
শিশু হয়েও সে যে এখন শিশু নহে,
  কঙ্কালসার দেহ খালি
তবুও নড়াচড়া করে অমর আত্মা
  ক্ষণিক সময়ের সে অধিকারী।