সদর দরজায় টাঙানো ওই যে দেওয়াল ঘড়িটা
  তার ভিতর থেকে এখনও শুনতে পাই একটা আওয়াজ
  দিন হোক বা রাত।
  ইহা মানুষ নয়,
     নয় ফুটন্ত লাভা
  তবুও তার ধুকপুকানি অনবরত চলছে
   চলছে অবিরাম
নিস্তব্ধ রাত বারোটায় যেন প্রাণের স্পন্দন।
  টিক-টিক শব্দ করছে
আর সেটা হল সেকেন্ডের কাটা।
সে যেন জড় ঘড়িতে প্রাণের ফুলকি
কিন্তু সে নহে একা
রয়েছে আরও দুটো কাটা
কিন্তু সে মাঝারে
তার দায়িত্ব মিনিটের কাটাটি বহন করে নিয়ে যাওয়া।
কখনো তাদের সাথে এক হয়
    বাকি সময় ছন্নছাড়া।
সে করে ষাটবার প্রদক্ষিণ
  তখন গিয়ে মিনিটের কাটাটি এক পদক্ষেপ নেয়।
মিনিটের কাজ ঘন্টার কাজকে বহন করা।
তবে সেকেন্ডের কাটাটি মূল চালিকাশক্তি।
এই কাজটি সহজ নয়,
মাঝে আসে অসংখ্য বিপদ
  সংশয়ের বুক নিয়ে ঘড়ির পিঠে ঘুরে।
পথের মাঝে সে অনেক সময় সে থেমে যায়।
যখন দেখা যায়,
ব্যাটারির কোষ বিকল হয়ে গেছে
    কিংবা ঘড়ি আচমকা ছিটকে পড়েছে।
তখন তার প্রাণটা যেন থেমে যায়।
বদ্ধ হয়ে যায় সময়ের গতি।
  তাই সব বাধাকেই তার মানিয়ে নিতে হয়
  কারণ সেইতো ঘড়ির প্রাণ,
ঘড়ির হৃৎযন্ত্র।
  একা হাতে চালায় দুটো আধমরাকে।
  নিয়ামক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে থাকা দুটো কাটার দিকে।
  এক ঘন্টা হলেই বাজে জোরসে পেন্ডুলাম।
   তখন সবাই নেয় ক্ষণিকের বিরাম
  কিন্তু সে ঘুরছে। তার আবর্তন সে করে যাচ্ছে।
   শ্রমের দৌড়ে চালাচ্ছে ঘড়িকে
    চালাচ্ছে সময়। চালাচ্ছে গতিকে।
  তার কাটা ধরেই বর্তমানের চাবি ভবিষ্যতে পা বাড়ায়।
  সে শুধু অপলক বীর্যে চলতে থাকে।
    করে যায় তার কর্ম।