এক যে দেখা রঙ্গমঞ্চে চলছে পুতুলখেলা
কাপড়, সারি,পায়জামা দিয়ে পড়ানো-
ছোট্ট ছোট্ট পুতুলগুলো দেখাবে খেলা।
ছোট্ট দেহ-নির্জীব শরীর
তাদের নেপথ্যে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রয়েছে শিল্পীরা
সুতো দিয়ে বাঁধানো শরীর
তা দিয়ে দেখাবে তাদের নাচ
এ যেন জড় শরীরে নতুন জন্ম।
অচল দেহকে যেন সচল করে দিল;
ক্ষণিকের ঝটকায়।
হবে নিয়ন আলোয় ঘেরা পুতুলদের রঙ্গলীলা।
কিছু খনের এইতো সময়।
আসবে জনতা,
দেখবে সাধের খেলা।
নাচিয়ে নাচিয়ে, নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে-
বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবিকেই
যেন তুলে ধরে।
পুতুলগুলিও কী নিরুপায়।
আজকে দেখা গেল এই রূপে;
কাল দেখা যাবে আরেক রূপে।
বিবিধ রূপে নিজেকে ধরা দেয় রঙ্গমঞ্চের আঙিনায়।
কখনো হতে হয় কারোর স্বামী,
আবার কখনো হতে হয় কারোর বোন।
নির্জীব দেহগুলি ভুলেভরা দুনিয়ায় হয় সজীব,
    নেপথ্যে থাকা শিল্পীগুলি যেন ততটা পায়না জাগির।
হাততালি দেয় সবাই,
  প্রশংসাও করে চুপিচুপি।
তাও ক্ষণিকের জন্য।
শিল্পীরা করে উপার্জন।
কিন্তু এই আবোলা জড়গুলি!
সেগুলিতো শিল্পীদের হাতের গোলাম।
এগুলির তো নেই ক্ষুদা, নেই বাড়িঘর।
শুধু রঙ্গমঞ্চে এগুলি পায় প্রাণ।
কিছুক্ষণের এইতো সময়;
মানুষের ঠেসাঠেসিতে নতুন অবতার ধারণ করে-
খানিকটা মনোরঞ্জন।
খেলা শেষ হয়ে গেলে এগুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে
যেন আস্তাকুড়ে;
সারিবদ্ধভাবে এক শ্রেণীতে।
এগুলির তখন কোনো মূল্য থাকেনা আর।
অসহায় নিষ্প্রাণ জড়ের মত কোন এক কোণে পরে থাকে-
ধুলোর ময়লা হয়ে।
তাই তারা উপহাস করে আর বলে-
যাদের দ্বারা শিল্পীরা উপার্জন করল টাকা
স্বপ্নর অতীত হয়ে আজকে তারাই পেলনা ভাতা।
হয়তো কয়েক দিন বা কয়েক মাস;
কিছু বলা যায় না।
বিভীষিকাময় অতীত হয়ে থাকে রঙ্গমঞ্চের সেই পুতুলগুলো।